বিচ্ছেদ করেই নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakroborty)। এর আগে শতাব্দী মিত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। বহুবছর আগেই সে সম্পর্কের ইতি টেনেছেন তিনি। কিন্তু এই ঘটনার পরেই ভাইরাল হয়েছে রাজের প্রাক্তন স্ত্রীর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। শতাব্দী লিখেছেন, ‘কিরে, কেমন লাগছে? আমারও ঠিক এরকমই লেগেছিল, ঠিক এইরকমই। বুঝলি তো? হিসট্রি রিপিটস। বুকের বাঁদিকটা চিনচিন করছে তো…আমারও করেছিল, ঠিক তেরো বছর আগে। আজ তুই যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, আমি অনেক আগেই হেঁটেছি সেই পথ ধরে। তোর এই বুকের বাঁদিকের চিনচিনে ব্যথা—আমারও খুব চেনা, ঠিক একই পথ ধরে।”
একদিকে প্রাক্তন স্ত্রীর খোঁচা, অন্যদিকে নজরুল মঞ্চে ছিল ‘ধুমকেতু’- র ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানের পর থেকেই দেব ও শুভশ্রীর বর্তমান পার্টনার- রুক্মিণী মৈত্র ও রাজ চক্রবর্তীকে (Raj Chakroborty) নিয়ে একাধিক মিম ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় রাজের অনুভূতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পরিচালক- প্রযোজক তথা বিধায়ক সাফ জানালেন, “আমি সাপোর্ট করব না তো কে করবে? আমি সাপোর্ট না করার কে? সাপোর্ট আমাকে করতেই হবে। বাংলা যে কোনও ছবিকেই আমি সাপোর্ট করি। কারণ একটা সিনেমা বানাতে যে স্বপ্ন দেখতে হয়, এতটা পরিশ্রম করতে হয় তার সঙ্গে অনেক স্টেক লেগে থাকে। আমি চাই সব বাংলা সিনেমা, আসলে সব সিনেমাই, যে কোনও সৃজনশীল কাজ সফল হোক। বিশেষ করে বাংলা সিনেমার কথা বলতে পারি, যেহেতু আমি বাংলা সিনেমা বানাই।”
ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়! পেশাদারিত্বের খাতিরে হলেও প্রাক্তনের উপস্থিতিতে সাজানো সংসারে ফাটল ধরার প্রসঙ্গ উঠতেই রাজের দাবি, “আমি বেশি করে সাপোর্ট করব এই ছবিটাকে (Film)। আরও একটা কারণ তো আছেই সাপোর্ট করার। কারণ আবার বউ রয়েছে এখানে। আমি আমার বউকে চোখ বন্ধ করে সাপোর্ট করি। অন্ধের মতো সাপোর্ট করি। ওকে এগিয়ে দিই। ভালোবাসি, এটা তো করতেই হবে। তাছাড়া আমি মনে করি একটা পরিবারে সন্তানকে সবচেয়ে বেশি আগলে রাখে তার মা। কিন্তু লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে, সন্তানের সঙ্গে বাবার কোনও মতানৈক্য হলে, তখন কিন্তু বাবাকে সমর্থন করেন মা। আমি তো ভাবতেই পারি না, আমার কোনও দিন বিচ্ছেদ হবে! ভাবতেই পারি না, যে ইউভান-ইয়ালিনির মা-বাবা কোনও দিন আলাদা থাকবে! তার জন্য যা যা করতে হয়, আমি সব করতে রাজি।”
আরও খবর: ইলিশের তেল-ঝাল-ঝোলে ‘বর্ষামঙ্গল’! ফরচুনের সহযোগিতায় আয়োজন বর্তমানের
–
–
–
–
–
–
–