ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র নিয়ে ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে হিংসায় এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন অনুরাগ ঠাকুর। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি বা ঠিকানা সংক্রান্ত প্রক্রিয়া নিয়েই তিনি অজ্ঞ। আসলে কোনও হোমওয়ার্ক না করেই এসব দাবি করছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, গত চার বছরে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ৩০১টি বুথে ১৫ শতাংশ ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা অনুযায়ী, নকল ভোটারের সংখ্যা ৩ হাজার ৬১৩ এবং ভুয়ো ঠিকানায় নাম রয়েছে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৬৫ জনের। অনুরাগের এই ভিত্তিহীন দাবি উড়িয়ে কুণাল বলেন, ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত তথ্য-পরিসংখ্যান ই-মেইলে পাঠিয়ে দিয়েছেন। যাঁদের নিয়ে এত কথা বলছেন, তাঁদের সামনে এসে কথা বলুন। দূর থেকে ভুলভাল অভিযোগ করে কোনও লাভ নেই।
অভিষেকের জনপ্রিয়তা ও বক্তৃতার দক্ষতাকে কুণাল তুলনা করেন রাষ্ট্রনায়কসুলভ ভাষণের সঙ্গে। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চেয়েও ভালো ভাষণ দেন অভিষেক, আর সেই ঈর্ষা থেকেই বিজেপি সাংসদরা তাঁকে আক্রমণ করছেন। সাড়ে সাত লক্ষ ভোটে জয়—সেই ধাক্কা বিজেপি এখনো সামলাতে পারছে না, মন্তব্য কুণালের।
তৃণমূলের দাবি, মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতেও কৃত্রিমভাবে ভোটার সংখ্যা বাড়িয়ে বিজেপি জিতেছে। অভিষেক ইতিমধ্যেই প্রস্তাব করেছেন, চলতি লোকসভা ভেঙে দিয়ে কমিশন যেন এসআইআর করায়। তাঁর বক্তব্য, “যদি ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ হয়, তবে সব সাংসদই সেই ভোটে জিতেছেন। আমিও ইস্তফা দিতে রাজি।
আরও পড়ুন – SIR-এ বাদ যাওয়া ভোটারদের নাম প্রকাশের সময়সীমা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত, বিরাট জয়: মন্তব্য দেবাংশুর
_
_
_
_
_
_