বরাবরই রাজনৈতিক সৌজন্যের দিক থেকে উদাহরণ স্থাপন করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। রাজনৈতিক মতাদর্শে বিপরীত মেরুর লোকেদেরও সম্মান দেন, বজায় রাখেন সৌজন্য। স্বাধীনতা দিবসের সন্ধেয় রাজভবনের ঐতিহ্যবাহী চা চক্র আবার তার প্রমাণ পেল। এদিন সন্ধেয় রাজভবনে উপস্থিত হয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তথা বর্ষীয়ান CPIM নেতা বিমান বসুর (Biman Basu) সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খোঁজ নিলেন তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির। এদিন সবার সঙ্গেই কুশল বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও সৌজন্য বিনিময় করেন। তবে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট চেয়ারে না বসে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে গিয়ে বসতে দেখা যায় মমতাকে।শুক্রবার সকালেই রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের বর্ণাঢ্য উদযাপন শেষে বিকেলে রাজভবনে ঐতিহ্যবাহী চা চক্রে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, গায়িকা ঊষা উত্থুপ এবং বিশিষ্ট সাংবাদিকরা। দরজায় দাঁড়িয়ে অতিথিদের স্বাগত জানান রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজ্যপাল এবং তাঁর স্ত্রীর পাশে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ যে চেয়ার ছিল সেখানে না বসে মমতা (Mamata Bandopadhyay) গিয়ে বসেন বিধানসভার অধ্যক্ষের পাশে।

কিছুক্ষণ পরে পৌঁছন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে তিনি এগিয়ে যান। মমতাও উঠে দাঁড়িয়ে বিমান বসুর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। জানতে চান, “বিমানদা ভালো আছেন?” বর্ষীয়ান বামনেতাকে শরীরের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা কুশল বিনিময় করেন বিমানও।

কিছুক্ষণ সেখানে থেকে রাজভবনের একটি অলিন্দে গিয়ে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যেখানে বসেন সেখানেই ভিড় জমে যায়। সবাই তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য জড়ো হন। আগাগোড়াই এদিনের অনুষ্ঠান সৌজন্যে মোড়া ছিল।

–

–

–

–

–

–
