জুলাই মাসেও হল না। অগাস্টের মাঝামাঝি এসে অবশেষে সেতু উদ্বোধনের দেরির কথা জানালো জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। ফরাক্কায় (Farakka) গঙ্গার উপর নবনির্মিত সেতু ২০২৫ সালের জুলাই মাসে উদ্বোধনের কথা থাকলেও এবার জানানো হল পুজোর আগে এই সেতু (Farakka second bridge) খুলে দেওয়া হবে। এর ফলে উত্তরের জেলাগুলির সঙ্গে বাংলার দক্ষিণ অংশের যাতায়াত আরও সহজ হবে বলেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের উদ্যোগে প্রায় ৬২২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প শুরু হয়। যদিও নানা কারণে কাজ বারবার বিলম্বিত হয়েছে, এখন মূল নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বলেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি। ৫.৪ কিমি দীর্ঘ এই সেতু (Farakka second bridge) চার লেনের। ফলে যানজটের সমস্যাও নিরশন হওয়ার প্রত্যাশা। বর্তমানে ফরাক্কা ব্যারাজের উপর যে সেতুটি রয়েছে, সেটি মাত্র দুই লেনের। অথচ সেতুর দুই প্রান্তেই জাতীয় সড়ক ১২ নম্বরে চার লেন থাকায় প্রতিদিন যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। আগে যেখানে দৈনিক প্রায় ৩ হাজার গাড়ি যাতায়াত করত, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজারের বেশি। ফলে ব্যারাজে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে এবং লকগেট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন সেতু চালু হলে যানজট কমার পাশাপাশি ফারাক্কা বাঁধও অনেকটা সুরক্ষিত থাকবে।

আরও পড়ুন: মাছ চাষেও ই-অকশন: সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে

প্রকল্প সূত্রে জানা গিয়েছে, সেতুটি ২৫ মিটার চওড়া। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ২.৫৮ কিলোমিটার এবং বাকি অংশ অ্যাপ্রোচ রোড মিলিয়ে মোট দৈর্ঘ্য ৫.৪৬৮ কিলোমিটার। খরচ প্রথমে ধরা হয়েছিল ৫২১ কোটি টাকা। কিন্তু বিলম্বিত হওয়ার কারণে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২২.০৪ কোটি টাকা। সেতুর নির্মাণ করছে একটি চিনা সংস্থা এবং বিশাখাপত্তনমের একটি সংস্থা যৌথভাবে। সম্প্রতি প্রকল্প আধিকারিক ভেঙ্কটেশ স্বামী এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেছেন। ফারাক্কার মানুষজনের আশা, পুজোর আগে সেতুটি চালু হলে উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের গতি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

–

–

–

–

–

–
