দেশের জনবিন্যাসই বদলে গিয়েছে। আর তার জন্য দায়ী বেআইনি অনুপ্রবেশ। নিজেই ব্যর্থতা স্বাধীনতা দিবসে স্বীকার করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর সেই ব্যর্থতাতে ঢাকতে এবার না কি নতুন পথ ধরতে চলেছেন তিনি। যার গাল ভরা নাম হাই পাওয়ার ডেমোগ্রাফি মিশন (High Power Demography Mission)। তবে আদতে এই মিশনে কীভাবে বা কোন পথে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কাজ করবে তা নিয়ে কিছুই বললেন না প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই বিরোধীদের আশঙ্কা, যেভাবে নির্বাচন কমিশনকে এসআইআর (SIR) লাগু করে দেশের মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কাজ করছে কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকার, সেটাই মোদির এই নতুন মিশনের অংশ। সেখানেই বাংলার শাসকদল তৃণমূলের দাবি, কোনও ছুতোয় বৈধ নাগরিকদের হয়রান যেন না করা হয়।
লালকেল্লা থেকে দেশে অনুপ্রবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে (MHA) এক হাত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের পরিকল্পিত চক্রান্ত চলার অভিযোগ করেন তিনি। সেই সঙ্গে এই বেআইনি অনুপ্রবেশকারীরা দেশের জনবিন্যাস (demography) বদলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তার জন্যই তিনি জনবিন্যাস নিয়ে নতুন মিশন নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান। আদতে ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধনীর মধ্যে দিয়ে যেভাবে দেশের বৈধ নাগরিকদের বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে, তাতেই জনবিন্যাসের বদল ঘটানোর পরিকল্পনা চালানো হচ্ছে বলে দাবি বিরোধীদের।
স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্যে মোদি স্পষ্ট জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিকল্পিতভাবে এই জনবিন্যাসের পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করবে নতুন এই মিশন। ঠিক যেভাবে নির্বাচন কমিশন সময় নির্দিষ্ট করে ভোটার তালিকা সংশোধনের (SIR) নামে নাম বাদ দেওয়ার কাজ চালাচ্ছে, ঠিক সেভাবেই ডেমোগ্রাফি মিশনও (Demography Mission) সময় মেনে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির এই বার্তা থেকেও স্পষ্ট কমিশনকে দিয়েই জনবিন্যাস পরিবর্তন রোখার ছুতোয় ভোটার তালিকা থেকে দেশের নাগরিকদের নাম বাদের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বিজেপি সরকার।
আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশই সমস্যা! দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে ধুইয়ে দিলেন মোদি
তবে কোনও ছুতোয় যে বৈধ নাগরিকদের নাম বাদ দেওয়া যাবে না, তা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee), তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতা দিবসের বাণীর পরে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সতর্ক করেন, বৈধ কোনও ভোটার, নাগরিক – তাদের যেন হয়রান করা না হয়। ওনারা যতবার অন্য দেশ থেকে আসার কথা বলবেন ততবার প্রমাণিত হবে ওনাদের ব্যর্থতা। যারা সীমান্ত রক্ষা করতে ব্যর্থ তারাই বড় বড় কথা বলে চেঁচাচ্ছে। আর সেটাতে ছুতো করে বৈধ নাগরিকদের, ভারতবর্ষের নাগরিকদের তারা হয়রান করছেন।
–
–
–
–
–