আপনি কি পৃথিবীর গভীরতম খনি (The deepest mine in the world) দেখেছেন? গুগল ঘেঁটে বেশ কয়েকটা নামের তালিকা তুলে ধরা যেতেই পারে। কিন্তু যদি বলা হয় এমন এক খনির সন্ধান দিতে যেখান থেকে বছরে প্রায় ১০ লক্ষ টন সোনা পাওয়া যাবে, তাহলে একটু থমকে যেতে হয় বৈকি। কিন্তু সত্যিই এইরকম এক খনির সন্ধান মিলেছে। যেখানে এখনও প্রায় ৩ কোটি ৬১ লক্ষ টন আকরিক সোনা রয়েছে!
দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) উত্তর-পশ্চিম প্রদেশে অবস্থিত ইম্পোনিং সোনার খনি সম্পর্কে এখনও অনেকে জানেন না। ১৯৮৬ কাল থেকে এই খনিটি চালু রয়েছে। বর্তমানে এর গভীরতা প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। সত্যি কথা বলতে এই খনি কতটা গভীর সেটা ভাষায় বলে বোঝানো মুশকিল। তবে একটা ধারণা দেওয়া যেতেই পারে। ৬৩২ মিটার উচ্চতা সম্পন্ন চিনের সাংহাই সেন্টারের (Shanghai Centre) মতো আটটা বিল্ডিং অনায়াসে রাখা যাবে এখানে! তাহলেই ভেবে দেখুন।
খনিতে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের প্রতিদিন লিফটে করে প্রায় এক ঘন্টা ধরে অনেকটা নিচে নামতে হয়। খনির গভীরতম অংশের তাপমাত্রা প্রায় ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। এখানে শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য বরফের মতো জিনিস ব্যবহার করে বাতাসে তাপমাত্রার ৩০ ডিগ্রির কম রাখা হয় যাতে কেউ অসুস্থ হয়ে না পড়েন। এছাড়াও খনন কাজের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সুরক্ষার দিকে কথা মাথায় রেখে দেওয়ালগুলো বিশেষ কংক্রিট দিয়ে তৈরি যাতে তা শক্ত থাকে এবং ধসে না পড়ে। এই খনিতে কাজ সহজ নয়। বাতাসে প্রচুর ধুলো আর পাথরের ফাটল থেকে জল চুঁইয়ে পড়ে। এই খনির গভীরতা যত বাড়ছে শ্রমিকদের জীবনের ঝুঁকিও ততই বেড়ে চলেছে। তবু কাজ থামেনা। এখান থেকে প্রতি বছর প্রায় ১০ টন সোনা পাওয়া যায়। প্রতিদিন ৫০ টি ট্রাক আর ৫০ টি খননকারী মেশিন কাজ করে।
২০১৯ সালের হিসাব বলছে এই খনি থেকে এখনও প্রায় ৩১০ টনের বেশি সোনা পাওয়া যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলেন, এই ইম্পোনিং সোনার খনি বিস্ময়ের বিস্ময়!
–
–
–
–
–
–