স্কুটার (Scooter) চালানো শেখাতে গিয়ে যুগলের মধ্যে ঝগড়া। প্রেমিকাকে খালে ঠেলে ফেলে বেপাত্তা তরুণ। মঙ্গলবার, সকালের এই খবরই উল্টে গেল দুপুরের পরে প্রথমে প্রেমিক ও পরে তরুণীর দেহ আনন্দপুরের খাল থেকে উদ্ধার হওয়ায়। খুন, আত্মহত্যা না কি নিছক দুর্ঘটনা- কারণ নিয়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা।

সোমবার রাতে স্কুটার (Scooter) চালানো শিখতে গিয়ে নিখোঁজ হন রনিতা বৈদ্য (Ranita Boidya) ও রোহিত আগরওয়াল (Rohit Agarwal)। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ ছিল, স্কুটার শিখতে গিয়ে রনিতার সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় তাঁকে খালের জলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন প্রেমিক রোহিত। সোমবার মধ্যরাত থেকে ডুবুরি নামিয়ে চলে তল্লাশি। তরুণী আনন্দপুর এলাকার পঞ্চান্নগ্রামের বাসিন্দা। স্কুটি ও মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু খোঁজ মেলেনি যুগলের।

মঙ্গলবার বেলা বাড়াতেই সেই প্রেমিক যাঁকে তরুণীর পরিবার অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত তাঁর দেহ মেলে খালের জলে। তার কিছুক্ষণ পরে খাল থেকে উদ্ধার হয় রনিতার দেহ। জোড়া মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রনিতাকে পরিবারে তরফে স্কুটি কিনে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, গতকাল রাতে যুগলের ঝগড়ার আওয়াজ শোনেন তাঁরা। রনিতা খালের ধারে চলে যান। সেখানে পরে যান রোহিতও। কিন্তু পরে সেখানে গেলে তাঁদের কাউকেই দেখা যায়নি। খালের ধার থেকে স্কুটার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। এখন প্রশ্ন উঠছে, এটা খুন, আত্মহত্যা, নাকি খুন করে আত্মহত্যা না কি দুর্ঘটনা! এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

–

–

–

–

–

–
