পশুপ্রেমী রাজেশ বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিকভাবে অস্থির ছিলেন। গুজরাটের রাজকোট থেকে সোজা চলে আসেন দিল্লি। এরপরই বুধবার সকালে চড় কাণ্ড। দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে চড় মারায় অভিযুক্ত রাজেশ খিমজিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। যদিও পরিবারের দাবি, পশুপ্রেমী রাজেশ সুপ্রিম কোর্টের রাস্তার কুকুর নিয়ে রায়ের পর থেকেই অস্থির হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর (Chief MInister) নিরাপত্তা বলয় ভেঙে যুবকের কাণ্ডে রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব বিরোধীরা।
বুধবার সকালে জনশুনওয়াই কার্যক্রম চলার সময় রাজেশ খিমজি নামের মধ্য বয়স্ক যুবক কিছু কাগজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার (Rekha Gupta) সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময়ে কথা বলতে গিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই যুবক। একাংশের দাবি, যুবক ওই সময়ে মদ্যপ ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে হামলার পরেই দিল্লি পুলিশ (Dlehi Police) তাকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: মেট্রো টানেলে জল, অফিস টাইমে ব্যাহত পরিষেবা
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাজেশ আদতে রাজকোটের বাসিন্দা। পেশায় অটো চালক রাজেশের সংসারে দুই সন্তান, স্ত্রী, মা রয়েছেন। কী কাগজ নিয়ে সে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেই সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে রাজকোটে রাজেশের পরিবারের সঙ্গে। রাজেশের মায়ের দাবি, সে ছিল পশু প্রেমী (pet lover)। সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি শহরের পথ কুকুরদের (stray dog) নিয়ে রায় দেওয়ার পর থেকেই সে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। এরপরই সে দিল্লি চলে আসে।
–
–
–
–
–
–