স্কুল চলাকালীন দশম শ্রেণির পড়ুয়ার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরে (stabbed) দেয়। বুধবার আহত দশমের পড়ুয়ার মৃত্যু হলে অভিভাবকরা স্কুলের উপর চড়াও হন। স্কুলে ভাঙচুর চালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে। যদিও যে অস্ত্রে দশম শ্রেণির পড়ুয়াকে আঘাত করা হয়েছিল, তা স্কুল থেকেও নেওয়া বলে একাংশের অভিভাবকদের অভিযোগ।
মঙ্গলবার আহমেদাবাদের (Ahmedabad) সেভেন্থ-ডে অ্যাডভেন্টিস্ট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির সাত থেকে আটজন পড়ুয়া দশম শ্রেণির এক পড়ুয়ার উপর পুরোনো বিবাদের জেরে চড়াও হয়। বাগবিতণ্ডার পরে ধারালো কোনও অস্ত্র ঢুকিয়ে দেওয়া হয় দশমের পড়ুয়ার পেটে। অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ আহত অবস্থায় পড়ে থেকে চিৎকার করলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই পড়ুয়াকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসেনি। পরে বুধবার হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে অভিভাবকরা। স্কুলে ভাঙচুর চালানো হয় বুধবার। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন তাঁরা। অভিভাবকদের (guardians) দাবি, অভিযুক্ত পড়ুয়ার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ ছিল। তা সত্ত্বেও স্কুল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বিষয়টি আরেক পড়ুয়ার মৃত্যু পর্যন্ত গড়াতে পেরেছে। সেই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, যে অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়, তা স্কুলেরই ফিজিক্স গবেষণাগারের একটি যন্ত্র। কীভাবে স্কুলের যন্ত্র নিয়ে পড়ুয়ারা বেরিয়ে আসতে পারে, তা নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন।
আরও পড়ুন: কীসের আক্রোশ গুজরাটের যুবকের? কেন মারলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে চড়
আমেদাবাদ শহরে জোরালো প্রতিবাদে সরব হন অভিভাবকরা বুধবার। রাস্তা অবরোধ করে বিচারের দাবি জানানো হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তারা পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।
–
–
–
–
–