সংসদে সংবিধানের সংশোধনের নামে সংবিধান হত্যার খেলায়ে মেতেছে কেন্দ্রের স্বৈরাচারী মোদি সরকার। তার পাল্টা সংবিধান রক্ষার লড়াই বিরোধী জোটের। সেই লক্ষ্যে বিজেপি ও এনডিএ জোট শরিকরা যেভাবে আরএসএস-এর মতাদর্শকে প্রাধান্য দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি (Vice-president) পদের প্রার্থী বেছেছেন, তার পাল্টা অরাজনৈতিক, আইনের রক্ষককে বেছে নিয়েছেন বিরোধী জোটের শরিক দলগুলি। বুধবার সংসদের সংবিধান সদনে বিরোধী দলের নেতা ও সাংসদদের সঙ্গে মিলিত হন উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি (B Sudarshan Reddy)।
উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhakhar) যেভাবে ইস্তফা দিয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গিয়েছেন, তাতে গণতন্ত্রের রক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ করতে ব্যর্থ ধনকড়কে বিজেপি ও আরএসএস-এর যৌথ ষড়যন্ত্রে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। ঠিক যে সময়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সেই স্বৈরতন্ত্রকে আরও প্রতিষ্ঠা করতে একের পর এক বিল আনছে, সেই সময়েই বিরোধীরা সংবিধানের গুরুত্ব ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে উপরাষ্ট্রপতি পদে একজন সংবিধানের রক্ষককে তুলে ধরার কাজ সারলেন। আগেই বি সুদর্শন রেড্ডিকে সমর্থনের বার্তা বিরোধী দলগুলি (oppostion parties) দিয়েছিলেন বিরোধী সাংসদরা। বুধবার সংবিধান সদনে (Samvidhan Sadan) বিরোধী দলের সাংসদরা উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর সামনে সেই সত্য তুলে ধরলেন।
আরও পড়ুন: আদালতে প্রমাণ করুন: আরজিকরের মৃত চিকিৎসকের বাবার বিরুদ্ধে মানহানি মমলা কুণালের
বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে সমর্থন ও উপরাষ্ট্রপতি (Vice0president) পদে প্রার্থী হওয়ার বার্তায় নিজের খুশির কথা সংবিধান সদনে ব্যক্ত করেন প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। তিনি জানান, হয়তো আমি একটু নার্ভাস, একটু আবেগপ্রবণ, একটু রোমাঞ্চিত এবং যার পর নাই আনন্দিত। আমি সংসদে আপনাদের বার্তা শুনি, সম্ভবত প্রায় প্রত্যেক বার্তাই শুনি যখন আপনারা জাতির বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। আমি নিজে খুব ভালোভাবে জানি গোটা দেশে কী চলছে। এবং আমিও এই একই চিন্তাভাবনার প্রতিষ্ঠান থেকে আসছি। এদিন স্বাধীনতা সংগ্রামী রাম মনোহর লোহিয়ার বার্তা তুলে ধরেন উপরাষ্ট্রপতি (Vice-president) পদপ্রার্থী মনে করিয়ে দেন, অগর সড়ক খামোশ হো যায়েগি, তো ইয়ে সংসদ আওয়ারা হো জায়েগি।
–
–
–
–
–
–