চালকের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল যাত্রীবাহী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে বাঁচলো বেশ কয়েকটি হাতির প্রাণ। রেল সূত্র খবর, বুধবার সন্ধে সোয়া ৬টা নাগাদ হঠাৎই একটি হাতির দল নাগরাকাটা ও চালসা স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় ১৩১৫০ ডাউন কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের (Express) সামনে চলে আসে। লোকো পাইলটের তৎপরতায় হাতির (Elephant) দলটি নির্বিঘ্নে লাইন পার হয়ে যায়।
রেল সূত্রে খবর, সন্ধে প্রায় ৬টা ১৭ মিনিট নাগাদ নাগরাকাটা ও চালসা স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় ১৩১৫০ ডাউন কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস চলাচলের সময় লাইনের ওপর হঠাৎই একটি হাতির দলকে দেখতে পান লোকো পাইলট অরুণকুমার সিং (LP) এবং সহকারী লোকো পাইলট এসজি মহান্ত (ALP)। মুহূর্তের সিদ্ধান্তে জরুরি ব্রেক প্রয়োগ করে ট্রেন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফলে যাত্রীবোঝাই ট্রেনটি ঠিক সময়ে থেমে যায়। হাতির (Elephant) দলটি নির্বিঘ্নে লাইন পার হয়ে যায়।
এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। ঘটনার পর যাত্রীরা চালক ও সহকারী চালকের উপস্থিত বুদ্ধি ও দায়িত্বশীলতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স ও তার আশপাশের বনাঞ্চল হাতির করিডর হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছরই এই অঞ্চলে ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর একাধিক ঘটনা সামনে আসে। রেল কর্তৃপক্ষ ও বনদপ্তর যৌথভাবে হাতি করিডর এলাকায় ‘কশন সাইনবোর্ড’, স্পিড রেস্ট্রিকশন এবং পেট্রোলিং চালু করলেও মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের এই ঘটনায় রেলকর্মীদের তৎপরতায় একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
–
–
–
–
–
–