কলকাতার উড়ালপুল ও সেতুর নীচ থেকে বেআইনি দখলদারি সরাতে উদ্যোগী হল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। ইতিমধ্যেই চারটি সেতুর নীচ থেকে অবৈধ বসতি ও অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। ওই জায়গাগুলিকে লোহার গ্রিল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে আবার দখল না হয়। একইসঙ্গে আরও আটটি সেতুর নীচে চলছে উচ্ছেদ অভিযান।

যে চারটি সেতুর নীচে উচ্ছেদ হয়েছে সেগুলি হল—আলিপুর চিড়িয়াখানার কাছে মা সারদামণি সেতু, টালিগঞ্জ–হারিদেবপুর সংযোগকারী করুণাময়ী সেতু, চিঙ্গরিঘাটা উড়ালপুল এবং ইএম বাইপাসের অ্যাম্বেডকর সেতু। বর্তমানে বাঘাজতিন ব্রিজ, চেতলা লকগেট ব্রিজ, দুর্গাপুর ব্রিজ, বাগমারি ব্রিজ, কামালগাজি ব্রিজ, চিতপুর ব্রিজ, উল্টোডাঙা উড়ালপুল এবং ভিআইপি রোড–সল্টলেক সংযোগকারী স্লিপ ব্রিজে চলছে অভিযান।

কেএমডিএ সূত্রে খবর, বহু সেতুর নীচে বছরের পর বছর ধরে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী দোকান ও বসতি। কোথাও খোলা আগুনে রান্নার মতো কাজও চলছে। এতে ইঞ্জিনিয়ারদের পরিদর্শন বাধাগ্রস্ত হয়। গত বছর ডিসেম্বরে নিউ আলিপুরের দুর্গাপুর ব্রিজের নীচে আগুন লেগে কংক্রিট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকেই নড়েচড়ে বসে কেএমডিএ। পরিদর্শনে দেখা যায়, বিভিন্ন সেতুর নীচে ব্যাপক দখলদারি রয়েছে।

অধিকারিকদের দাবি, খোলা আগুনের তাপে রডের ধাতব কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দীর্ঘদিন একইভাবে চলতে থাকলে সেতুর শক্তি কমে যায়। তাই অবিলম্বে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলরের সহায়তায় চলছে এই কাজ। কেএমডিএ জানিয়েছে, তাদের অধীনে থাকা সমস্ত উড়ালপুল ও সেতুর ক্ষেত্রেই ধাপে ধাপে এই উচ্ছেদ অভিযান চলবে।

আরও পড়ুন – ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, ২৬ অগাস্টে বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক

_

_

_

_

_

_