বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর যে অত্যাচার বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে চলেছে তার প্রতিবাদ রাজ্য জুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে শুরু হয়েছে। এই অত্যাচারে যদি কোনও শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে তবে তাতে সরব হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর চব্বিশ পরগণার মৃত গোলাম মণ্ডলের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না। প্রশাসনের বার্তা নিয়ে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের সদস্যরা হাবড়ার গ্রামে যান সোমবার। সেখানে সদস্যদের পাশাপাশি পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন সাংসদ দোলা সেন।
সারাদিন রোদে বসিয়ে রাখা। খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টিতে ভেজানো। ঠাণ্ডা জল দিয়ে কঠিন অত্যাচার। সবটাই শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় (Bengali language) কথা বলার জন্য। বিজেপির মহারাষ্ট্র সরকারের সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাংলায় ফিরে প্রাণ গেল উত্তর চব্বিশ পরগণার গোলাম মণ্ডলের। বাংলায় ফিরে নিজের উপর হওয়া অত্যাচারের কথা যে মঞ্চে এসে বলেছিলেন, সেই দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের সদস্যরা সোমবার মৃত গোলামের গ্রামে গিয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন।
সেখানেই সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্যের ফোনে মৃত গোলামের ছেলের সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ দোলা সেন। তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি চাকরির নির্ভরতাও দেন। যাতে সেই পরিবার কোনওভাবেই বাইরে গিয়ে কাজ না করে, তা নিয়েও বার্তা দেন। প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে পরিবারের পাশে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন সাংসদ।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র পুলিশের অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে বাংলায় ফেরা গোলাম যাঁদের পাশে বসেছিলেন, সেই গণমঞ্চের সদস্যরা গোলামের মৃত্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য দাবি করেন, যদি বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক গোলাম মণ্ডলকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে রেখে অত্যাচার করা হয়। তারপরে যদি তার মৃত্যু হয়, তাহলে আর কোনটাকে খুন বলা যাবে। এর থেকে আর বড় খুন কী হতে পারে।
আরও পড়ুন: কালা কানুনের বিরাট সওয়াল শাহর, জীবনে কার্যকর হবে না, কটাক্ষ কুণালের
দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের সদস্যদের পাশে বসে অত্যাচারের কথা দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা করা গোলামের স্মৃতি সদস্যদের মনে টাটকা। শিল্পী সৈকত মিত্র জানান, সেদিন আমার পাশে বসেই অত্যাচারের কথা বলেছিলেন গোলাম মণ্ডল। পাশবিক নৃশংসতার সাক্ষী যাঁরা সামনে থেকে স্বীকার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। এর নিন্দার কোনও ভাষা নেই।
–
–
–
–