নিয়োগ মামলায় বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া শিক্ষকরা বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha) অ্যাকাউন্টে টাকার লেনদেন করেছেন। সেই অভিযোগে সোমবার গ্রেফতার জীবনকৃষ্ণ। সিবিআই-এর (CBI) পরে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়ে এটা জীবনকৃষ্ণের দ্বিতীয়বার জেল যাত্রা।
সোমবার ভোর থেকে জীবনকৃষ্ণের বড়ঞার (Burwan) বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। অভিযোগ, ইডি আধিকারিকদের দেখে পাশের ঝোপে নিজের মোবাইল ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ। ২০২৩ সালে সিবিআই অভিযানের সময়ও একই কাণ্ড করেছিলেন তিনি।
পরে ইডি আধিকারিকরা তাঁর মোবাইল উদ্ধার করে ৯০ দিনের তথ্য যাচাই করেন। তাতেই বেআইনি আর্থিক লেনদেনের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সেই অসঙ্গতি প্রশ্নের উত্তর দিতে অসহযোগিতা করেন জীবনকৃষ্ণ (Jibankrishna Saha), অভিযোগ ইডির (ED)। এরপরই বিধায়ককে গ্রেফতারের পথে যেতে হয় বলে দাবি আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলা: ইডির তল্লাশি বিধায়কের বাড়ি, আত্মীয়ের বাড়িতে
যদিও সোমবার অন্যান্য যে দুই জায়গায় জীবনকৃষ্ণ সংক্রান্ত তথ্য পেতে অভিযান চালায় ইডি, সেখান থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। বীরভূমে জীবনকৃষ্ণের আত্মীয়র বাড়িতে অভিযান চালানো হলে বাড়ির মালিক সুব্রত সাহা দাবি করেন, তাঁদের মোবাইল জমা নিয়ে বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ এলাকা খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। সুব্রত সাহার স্ত্রী মায়া সাহা সাঁইথিয়ার কাউন্সিলর। তাঁর কাগজপত্রও খতিয়ে দেখা হয়। তবে ঘণ্টা দুয়েক তল্লাশির পরে খালি হাতে ফিরে যায় অধিকারিকরা।
–
–
–
–
–