দুর্গোৎসবের মুখে একদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যবাসীর কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে দ্রুত বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব বলছে, রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,১২২ জন। শুধু গত সাত দিনে নতুন করে ৭১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭৬। তার পরেই নদিয়া (৪৪১), উত্তর ২৪ পরগনা (৪১০), হুগলি (৩২৪), মালদা (৩০১) ও কলকাতা (২৭৮)। ক্রমশ বাড়তে থাকা পরিস্থিতি সামাল দিতে নবান্ন থেকে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যভবন ও পুর দফতরকে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, প্রতি পনেরো দিন অন্তর পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বৈঠক করতে হবে।

স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে স্বাস্থ্য ও পুর দফতর সমন্বয় রেখে কাজ করলে তা মোকাবিলা করা আরও সহজ হবে। নবান্ন থেকে জেলাশাসকদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এলাকায় বিশেষ সাফাই অভিযান চালাতে হবে। বিশেষ করে জল জমে থাকা জায়গা দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে। বাজার এলাকা, ফাঁকা জমি, আবর্জনার স্তূপ—সবখানেই বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষার সময়ে ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়া অস্বাভাবিক নয়। উপরন্তু, ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের ফলে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি ও আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এ সময়টাই মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। ফলে দুর্গাপুজোর আগে সতর্কতামূলক পদক্ষেপে জোর দিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন।

আরও পড়ুন – মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি

_

_

_

_

_

_