তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে গান্ধী মূর্তির সামনে মেয়ো রোডে চলছে বিশেষ সমাবেশ। শুরুতেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর বক্তব্য রাখেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রাক্তন রাজ্য সভানেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের চেয়ারপার্সন জয়া দত্ত (Jaya Dutta)।
এদিন মঞ্চ থেকে জয়া বলেন, ”আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ যে বার্তা দেবেন সেই বার্তা পাথেয় করে আমরা আগামী দিনে লড়াই করব। আমি সকল ছাত্রছাত্রী, যারা শিক্ষার প্রগতি ও সঙ্গবদ্ধ জীবনকে গুরুত্ব দিয়ে পতাকা নিয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করো তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে বাংলার প্রতিটি কলেজে জয়যুক্ত হব। কোনও অশুভ শক্তি আমাদের আটকাতে পারেনি কোনদিন, আগামী দিনেও পারবে না। কলেজ গেটে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ আন্দোলন করলে একমাত্র টিএমসিপি করে।”
এরপরেই কেন্দ্রকে নিশানা করে জয়া (Jaya Dutta) বলেন, ”কেন্দ্র যেভাবে বঞ্চনা করছে বাংলাকে। ১০০ দিনের টাকা, গ্রামীণ সড়ক যোজনার টাকা কেন্দ্রীয় সরকার জোর করে আটকে রাখছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার উন্নয়নে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী দিচ্ছেন। কেন্দ্র ভাবছে বাংলাকে এভাবে পিছিয়ে রাখবে। তারা জানে না এই বাংলার বাঘিনী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদির কাছে তারা শিরদাঁড়া বিক্রি করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করেই যাবে। বাংলা ভাষায় কথা বললে বাংলাদেশী আখ্যা দিচ্ছে। মোদি ও কেন্দ্রীয় সরকার শুনে রাখো বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের হেনস্থা হলে আগামীদিনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ তোমার বাসভবন ঘেরাও করবে। বাঙালিদের জন্য কেউ যদি লড়াই করে সেটা জননেত্রী করছে। বাংলার কৃষ্টি, উন্নয়ন রক্ষার স্বার্থে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক লড়াই করছে। আমরা যারা ছাত্র পরিষদ আমাদের জানা উচিত আমাদের নেত্রী আকাশ থেকে মাটিতে পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হননি। ছাত্রজীবন থেকেই নিজের রাজনৈতিক ময়দান শক্ত করেছেন। তাঁর দেখানো পথেই আমরা লড়ব। কলেজ গেট থেকে একটাই আওয়াজ তুলবো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।”
–
–
–
–
–
–
–