বাংলার অপমানে মাথা নত করবে না একজনও বাঙালি। বাংলার প্রতিটি ক্ষেত্রকে তাই ভাষার উপর আক্রমণের প্রতিবাদে সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো তৃণমূলের কিষাণ খেত মজুর সংগঠনের সদস্যরা দুদিন মেয়ো রোডে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল। আর সেই মঞ্চেই ভিন রাজ্যে বাঙালিদের উপর আক্রমণের পিছনে বিজেপি অন্তর্নিহিত কারণ তুলে ধরলেন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে এদিন শোভনদেব স্পষ্ট করে দেন, যে কোনও রাজ্যে বাংলাভাষায় কথা বললে তাকে মেরে পিটে কফিনে বন্দি করে ফেরৎ পাঠিয়ে দিচ্ছিল। কেন জানেন? ওরা চেয়েছিল, আমরা ওড়িশায় মার খেলে আমরা যেন এখানে ওড়িয়াদের মারি। বিহারে মার খেলে যেন হিন্দিভাষীদের মারি। মহারাষ্ট্রে মার খেলে মারাঠিদের আর গুজরাটে মার খেলে গুজরাটিদের মারি। এটা ওরা চেয়েছিল। এখানে যখনই মারপিট পাল্টা হতো এখানে ৩৫৬ জারি করে নির্বাচনের পথে যেত। এই ছিল ওদের কৌশল। তার জন্য ওদের এই মার। তা নাহলে বাংলার পারদর্শিতার জন্য ওরা ডেকে নিয়ে যায়।

রবিবারের আন্দোলনে একদিকে যেমন বসিরহাট থেকে এসেছেন সংগঠনের কর্মীরা, তেমনই বাঁকুড়া থেকেও ভাষার সম্মানের দাবিতে আন্দোলনে যোগ দিলেন দলের কর্মীরা। তাঁদের সংবিধানের বার্তা তুলে ধরে বিধায়ক জানান, একজন মূর্খ মালব্য বলেছেন বাংলা ভাষা বলেই কিছু নেই। এত মূর্খ নেতাদের গলায় জড়িয়ে ধরেন। তারপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো যারা জুতোয় কিক মারে তখন সেই অসম্মানটা আমাদের গায়ে লাগে। আমরা কী হিটলারের গ্যাস চেম্বারের দেশে বাস করছি না কী? সংবিধানের অধিকারে ভারতের যে কোনও রাজ্যে বসবাস করার অধিকার আমার আছে।

রবিবারের মঞ্চে ফের একবার বাংলাভাষার বিরুদ্ধে অত্যাচার নিয়ে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন পূর্ণেন্দু বসু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দোলা সেন, সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত, সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য, কলকাতা পুরসভার বরো চেয়ারম্যান সন্দীপ বক্সি, বিদেশ চক্রবর্তী, ভাস্কর চক্রবর্তী প্রমুখ।

–

–

–
–
–

–