রাজ্যে প্রাথমিকে ড্রপ আউট শূন্য এটাই বাংলার প্রকল্পের সার্থকতা

Date:

Share post:

বর্তমানে রাজ্যে প্রাথমিকে ড্রপ-আউটের সংখ্যা নেমে এসেছে শূন্যে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) মস্তিষ্কপ্রসূত বিভিন্ন প্রকল্পের জন্যই। কন্যাশ্রী দিবসের(Kanyashree) পর বৃহস্পতিবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে শিক্ষারত্ন সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান থেকে এ-কথা ফের একবার স্মরণ করিয়ে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee) বলেন, রাজ্যে ড্রপ আউটের হার আগে অনেক বেশি ছিল। কারণ মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দিতেন বহু বাবা-মা। বাংলার সরকার শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রী, কন্যাশ্রী করার পরে প্রাথমিকে ড্রপ আউটের হার এখন শূন্য। সকলে পড়াশোনা করেন। উচ্চ পর্যায়ে এই হার ৩ শতাংশের সামান্য বেশি। কারণ উচ্চমাধ্যমিকের পরে অনেকে ব্যবসা করেন, চাকরি করেন।

এ প্রসঙ্গে বাল্যবিবাহ প্রথা রদ নিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদানের কথা তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এককালে ছোট মেয়েদের খুব অল্প বয়সে বয়স্কদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হত। বিদ্যাসাগর বাল্যবিবাহ রদ করেছিলেন। এই বাংলার অ্যাসেম্বলি থেকেই একদিন সতীদাহ প্রথা রদ বিলও পাশ হয়েছিল। তারপর তা গোটা ভারতে গৃহীত হয়। অর্থাৎ দেশকে পথ দেখিয়েছিল বাংলাই। এগুলো আমাদের গর্বের জায়গা। তাই আমরা যেন আমাদের অস্তিত্ব ভুলে না যাই।
এদিন সেরা ১২টি স্কুলকে শিক্ষা ও খেলাধূলায় উৎকর্ষের জন্য পুরস্কার প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষক দিবস উপলক্ষে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা-সহ বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্সে প্রথম হওয়া ১৯ জন ছাত্রছাত্রীকে সম্মানিত করা হয়। সমস্ত বোর্ড মিলিয়ে ৩৮৭জন কৃতী ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে এদিন। তাদের দেওয়া হয়েছে মানপত্র , ট্যাব, ল্যাপটপ, জেমস অফ বেঙ্গল নামে একটি বই, মুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা ডায়েরি এবং ১২টি বই।

এর আগে কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু হওয়ার পর বর্তমানে ড্রপ-আউটের সংখ্যা নেমে এসেছে শূন্যে। শুধু ইউনেস্কোর বিশ্ব স্বীকৃতি নয়, কন্যাশ্রীর আসল সাফল্য এখানেই। এখন মেয়েরা শুধু পড়াশোনা নয়, ভোকেশনাল ট্রেনিংও করছে। কন্যাশ্রী শুরুর আগে ২০১১ সালে ড্রপ-আউটের সংখ্যা ছিল পৌনে ৫ শতাংশ। কন্যাশ্রী চালুর পর প্রাথমিকে ছাত্রীদের ড্রপ-আউট এখন শূন্য। সেকেন্ডারিতে ২০১১-’১২ সালে ড্রপ-আউটের সংখ্যা ছিল ১৬.৩২ শতাংশ। এখন হয়েছে ২.৯ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিকে আগে ছিল ১৫.৪১ শতাংশ। এখন হয়েছে ৩.১৭ শতাংশ।

spot_img

Related articles

কোলে এক মাসের সন্তান, তবুও এসএসসি পরীক্ষার লড়াইয়ে রায়গঞ্জের ঝুম্পি 

মাতৃত্ব আর স্বপ্ন—দুই দায়িত্ব একসঙ্গে সামলাচ্ছেন রায়গঞ্জের মহারাজার ঝুম্পি মাহাতো। কোলে এক মাসের সন্তান নিয়েই বসলেন বহু প্রতীক্ষিত...

ভুয়ো খবর রটিয়ে ধরা পড়া অরিন্দম, পুলিশি পাহারায় বসলেন এসএসসি পরীক্ষায় 

ভুয়ো খবর রটিয়ে রাজ্যের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিলেন অরিন্দম পাল। শেষমেশ ধরা পড়ে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে...

প্রয়াত ওয়েবকুপার সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণকলি বসু! শোকপ্রকাশ শিক্ষামন্ত্রীর

প্রয়াত তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণকলি বসু। ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু রবীন্দ্রনাথ কলেজের ইংরেজির অধ্যাপিকা ছিলেন তিনি।...

চিকিৎসায় বড় সাফল্য CMRI – এ! সার্জারি ছাড়াই ২৩ মাসের শিশুর মেরুদণ্ডে জটিল অপারেশন 

মেরুদণ্ডের সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থ ২৩ মাসের এক শিশুকে বাঁচালেন সিএমআরআই হাসপাতালের চিকিৎসক অভীক ভট্টাচার্য। শিশুর সুষুম্নাকাণ্ডের পাশে জমে...