চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতি সহনুভূতিশীল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার, ধনধান্য স্টেডিয়ামে শিক্ষক দিবসের (Teacher’s Day) আগে অনুষ্ঠান থেকে বার্তা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। বলেন, “আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অযোগ্যরা হয়তো তাঁরা আর শিক্ষক হতে পারবেন না, কিন্তু তাঁরা যাতে অন্তত গ্রুপ সি-র চাকরি পান, তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি।“

আদালতের নির্দেশে অযোগ্যদের তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে SSC। সেই চাকরিহারাদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি মুখ্যমন্ত্রীর। জানান আইন মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এদিন অনুষ্ঠান থেকে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, “১০ বছর শিক্ষক হিসাবে কাজ করার পরেও যাঁদের আজ অযোগ্য বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা তাঁদের নিয়ে আইনত আলোচনা করছি। আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হয়তো তাঁরা আর শিক্ষক হতে পারবেন না, কিন্তু তাঁরা যাতে অন্তত গ্রুপ সি-র চাকরি পান, তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। তাঁদের হতাশ হতে বারণ করব। কারণ, আমাদের সরকার মানবিক সরকার। আমরা রাজনীতি দেখে কাজ করি না, মানুষের কথা ভেবে কাজ করি। আজ শিক্ষকদিবসের প্রাক্কালে সব শিক্ষকদের অন্তরের অন্তস্তল থেকে শুভকামনা জানাচ্ছি।“

মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমাদের শিক্ষক পদে এখনও মোট ৫৬ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫,৭২৬টি পদের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। আরও ২১ হাজার পদ খালি রয়েছে।“ এর পরেই নাম না করে বিরোধীদের নিশানা করেন মমতা। তাঁর কথায়, “আমরা নিয়োগ করতে চাই। কিন্তু আইনের জটিলতায় হচ্ছে না। যাঁরা আইনকে বেলাইন করে দিয়েছেন, তাঁদের জন্য হচ্ছে। আদালতকে দোষ দেব না। আমাদেরই মধ্যে কিছু কিছু লোক আছে, তাঁদের জন্য এমন হচ্ছে। কত লোকের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেল। যাঁরা চাকরি করতেন, যাঁরা ‘আনটেন্টেড’, তাঁদের জন্য আমরা ইতিমধ্যেই ভাবছি। তাঁদের কথা ভেবেই বয়সসীমা বৃদ্ধির কথা ভাবা হয়েছে। আমাদের হাত-পা বাঁধা। কিন্তু আমরা তাঁদের সুযোগ দিচ্ছি, যাতে তাঁরা পরীক্ষা দিয়ে চাকরিতে ফিরতে পারেন।“

আদালতের নির্দেশে ‘দাগি’র তালিকায় থাকা ১৮০৬ জন এসএসসি-র পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। তবে তাঁদের পাশে এদিন আইনিভাবে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা তাঁদের জন্য আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছি। কিছু একটা ব্যবস্থার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেউ ভাববেন না, আমাদের সরকার মানবিক। নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। আগামী দু’-তিন মাসের মধ্যে সেই কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। তার পরেই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগ শুরু হবে”

–

–

–
–
–

–