ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ম্যাচে ৩-০ গোলে জয় পেল আর্জেন্টিনা (Argentina)। জোড়া গোল করলেন মেসি (lionel messi)। সম্ভবত নিজের দেশে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলে ফেললেন এলএমটেন (LM10)। ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে জিতেই অবসর নিয়ে নিজের মনের কথা জানালেন মেসি।

ভেনেজুয়েলা বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ ছিল মেসিময়। স্টেডিয়াম জুড়ে মেসি আবেগের চোরা স্রোত। গ্যালারিতে হাজির মেসির পরিবার। স্ত্রী রোকুজ্জো থেকে সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন । প্রথমে হাসছিলেন, তখন ম্যাচের শুরু। কিন্তু ম্যাচ যত এগোলো ততই আবেগপ্রবণ হল তাঁর চোখ। মেসির শরীরী ভাষাই বলে দিচ্ছিল হয়ত এটাই শেষ ম্যাচ দেশের মাঠে।

জোড়া গোল করে দলকে জেতালেন। ম্যাচ শেষে মেসির কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল দেশের মাটি রাজপুত্রের পায়ের জাদু আর দেখতে পাবেন না আর্জেন্টিনাবাসী। ম্যাচ শেষে মেসি (lionel messi) বলেন, ‘আমার বয়স এখন ৩৮। ফলে আগামী বছর ফিফা বিশ্বকাপ যে খেলতে পারব না, সেটাই স্বাভাবিক। তবে খেলার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেরা পারফরম্যান্স করার জন্য নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছি। খেলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আগামী দিনে আমার শারীরিক সক্ষমতা ও পারফরম্যান্সের উপরই বিষয়টি নির্ভর করছে।’

আরও পড়ুন- শ্রেয়ার সুরেই মহিলা বিশ্বকাপের সূচনা, টিকিটের দামেও বিরাট চমক আইসিসির

যদিও ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ম্যাচে মেসি কিন্তু প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি কতটা ফিট। ৩৮ বছর বয়সে এসেও তিনি গোলের জন্য কতটা ক্ষুধার্ত। ৩২৪ দিন পর আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির গোল। ৭ গোল করে এবারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে থাকা লুইস দিয়াজের পাশেও বসলেন, কিন্তু সেটা বেশিক্ষণের জন্য নয়।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথম গোলটি আসে তাঁর পা থেকেই। ৩৯ মিনিটে। গোটা স্টেডিয়াম উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে গোলের পরে। ম্যাচের ৮০ মিনিটে ফের গোল করেন মেসি। ম্যাচ জুড়ে শুধুই মেসি আবেগ। বল যতবার তাঁর পায়ে গেছে, গ্যালারিও গলা ফাটিয়েছে।

২০০৫ সালের ৯ অক্টোবর প্রথমবার দেশের জার্সিতে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন, সেটাও ছিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পর্বের ম্যাচ। দুই দশক পর সেই একই স্টেডিয়াম ও একই ‘মঞ্চ’—শুধু অনুভূতিটা আলাদা। এবার শেষের সূচনা। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন কোনও বিদায়ী ম্যাচ আয়োজন না করলে নিজের মানুষদের সামনে, নিজের মাটিতে এরপর আর কখনো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানো হবে না! ফলে মেসি ম্যানিয়ায় আক্রান্ত গোটা আর্জেন্টিনা।
_
_
