লক্ষ্মীপুজোর ছুটির পরেই সারা দেশে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, পুজোর পরেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। তবে এসআইআর শুরু হলে সবথেকে বড় চাপ পড়বে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরে। কারণ, যে সংখ্যক আধিকারিক থাকার কথা, তার তুলনায় বাস্তবে অনেকটাই কম জনবল নিয়ে চলছে দফতর।

সিইও দপ্তরে ১১টি পদ থাকার কথা। এর মধ্যে সিইও ১ জন, অতিরিক্ত সিইও ৩ জন, যুগ্ম সিইও ৩ জন এবং ডেপুটি সিইও ৪ জন। কিন্তু বর্তমানে রয়েছেন সিইও ১ জন, অতিরিক্ত সিইও ২ জন, যুগ্ম সিইও ২ জন এবং ডেপুটি সিইও ৩ জন—মোট ৭ জন। ফলে নিয়মিত কাজকর্মের পাশাপাশি সংশোধনী প্রক্রিয়ার অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আধিকারিক ও কর্মচারীদের। এই দফতরের উপরেই নির্ভর করছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ— ভোটার তালিকার সংযোজন, বর্জন ও সংশোধন; সংশ্লিষ্ট ২৮টি এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয়; আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি; ইভিএম ও ভিভিপ্যাট ব্যবস্থাপনা; রাজনৈতিক দলের নথি যাচাই; বুথ সংক্রান্ত কাজ; কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ; মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট প্রয়োগ; এসভিইইপি কার্যক্রম; আদালতের মামলা এবং আইটি-সহ অন্যান্য দায়িত্ব।

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত আধিকারিক নিয়োগ না হলে চাপ বাড়বে কর্মরত আধিকারিক ও কর্মচারীদের উপর, যার প্রভাব পড়তে পারে সাধারণ মানুষের ওপরও। সব মিলিয়ে, লক্ষ্মীপুজোর পর দেশজুড়ে সংশোধনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে রাজ্যের সিইও দফতরে বাড়তি আধিকারিক নিয়োগ না হলে কমিশনের কাজকর্মে টান পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

আরও পজ়
