দুর্গাপুজো মানেই ইলিশ ভোজনের আনন্দ। কিন্তু এ বার সেই আনন্দে কষাঘাত। আগের বছরের তুলনায় অনেকটাই কম আসছে বাংলাদেশি ইলিশ। বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, এ বছর ভারতে রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে মাত্র ১২০০ টন ইলিশ পাঠানোর। গত বছর এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন। ফলে পুজোর বাজারে পদ্মার ইলিশ পেতে হলে ক্রেতাদের খানিকটা বেশি দাম গুনতে হতে পারে বলেই আশঙ্কা।

বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অভ্যন্তরীণ সরবরাহ কম হলেও উৎসবের মরশুমে ভারতের জন্য বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, প্রতি কেজি ইলিশ ন্যূনতম সাড়ে ১২ ডলারে রফতানি করা যাবে। সীমিত পরিমাণ রফতানি হলেও দুই দেশের সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে এই সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জাতীয় রফতানি নীতি (২০১৫-১৮)-তে শর্তসাপেক্ষে ইলিশ পাঠানোর অনুমতি ছিল। ২০১৯ সাল থেকে দুর্গাপুজোর আগে ভারতেও ইলিশ পাঠানো শুরু হয়। ২০২১ পর্যন্ত নিয়মিত রফতানি হলেও পরে শেখ হাসিনার সরকার তা বন্ধ করে দেয়। তবুও উৎসবের মরশুমে বিশেষ ছাড় দেওয়া হতো। গত বছর হাসিনা সরকারের পতনের পরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। প্রথমে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী প্রশাসন জানায়, দেশে চাহিদা মেটানোই অগ্রাধিকার, তাই রফতানি বন্ধ রাখা হবে। পরে সিদ্ধান্ত বদল হয় এবং ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়। এ বারও মিলছে অনুমতি, তবে পরিমাণ আগের বছরের অর্ধেক। ফলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে পদ্মার ইলিশের চাহিদা মেটানো কঠিন হবে। ক্রেতাদের পকেট ফাঁক হতে বাধ্য। কিন্তু উৎসবের মরশুমে ইলিশের রসে ভিজতে বাঙালির যে কোনও আপস নেই—সেই পুরনো ছবিই ফের দেখা যাবে বাজারে।

আরও পড়ুন- বাংলা মডেলে দিল্লির দুর্গাপুজোতে ছাড় ঘোষণা রেখা গুপ্তার, সঙ্গে আজব ফরমান!

_

_

_
_
_

_
_