তিস্তার ক্রমবদলানো গতিপথ ও ভাঙনে দিশেহারা উত্তরবঙ্গ। পাহাড় থেকে মেখলিগঞ্জ সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ৯২ কিলোমিটার জুড়ে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। সেচ দফতর জানিয়েছে, মর্ফোলজিক্যাল সমীক্ষার মাধ্যমে নদীর বর্তমান অবস্থা খুঁটিয়ে দেখা হবে। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই তৈরি হবে তিস্তা নিয়ন্ত্রণে বিস্তারিত প্রকল্প-প্রতিবেদন (ডিপিআর), যা পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রক ও ব্রহ্মপুত্র বোর্ডে।

সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, তিস্তার ওপর পাঁচটি বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে—পশ্চিমবঙ্গের দুটি ও সিকিমের তিনটি। এগুলির প্রভাব নদীর জন্য কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে, তার সমীক্ষা এখন জরুরি। তাঁর কথায়, ২০২৩ সালের অক্টোবরে লেক বিপর্যয়ের পর থেকেই সমতলে নদীগর্ভ উঁচু হয়ে গিয়েছে, জলধারণ ক্ষমতা কমেছে। তার সঙ্গে সিকিম থেকে নেমে আসা বালি, পাথর, নুড়ি ও গাছের অংশ তিস্তা ক্রমশ ভরাট করছে। রাজ্য ইতিমধ্যেই সহযোগিতার জন্য সিকিম সরকারকে চিঠি পাঠালেও সদর্থক সাড়া মেলেনি। কেন্দ্রীয় সরকারকেও বারবার জানানো হলেও কার্যকর পদক্ষেপ হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন সেচমন্ত্রী। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ বছর অন্তত তিনবার তিস্তা রাস্তা গিলে খেয়েছে, জমি ভাঙনে গ্রাস হয়েছে। পুজোর পর রাজ্য অবশ্যই সমীক্ষা শুরু করবে।

সেচ দফতরের সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিস্তার অবস্থা ক্রমেই শোচনীয় হচ্ছে। নদীর গতিপথ বদলে যাচ্ছে, খাত চড়া হয়ে পড়ছে। সমীক্ষায় খতিয়ে দেখা হবে প্রতিদিন পাহাড় থেকে কত আবর্জনা নামছে, জলের তোড়ে কতটা ভেসে যাচ্ছে এবং নদীর জলধারণ ক্ষমতা ঠিক কতটা রয়েছে।

আরও পড়ুন- রাজ্যে কমছে রফতানি, পদ্মার ইলিশের দাম চড়ছে আকাশে

_

_

_
_
_

_
_
_
_
_