বারবার গেরুয়া শিবিরের টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করে বিরোধীরা। একই অভিযোগ বাংলার শাসকদলেরও। বুধবার, দিল্লি থেকে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গেও বিজেপি বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে তোপ দাগলেন করেলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা লোকসভার তৃণমূলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, টাকা দিয়ে জনপ্রতিনিধি কেনা যায়, জনতা কেনা যায় না।

মঙ্গলবার, দিল্লিতে (Delhi) উপরাষ্টপতি নির্বাচন হয়েছে। ভোট দিয়েছেন তৃণমূলের ৪১ জন সাংসদ। ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, বিরোধী প্রার্থী ৩০০টি ভোট পেয়েছেন। কিন্তু বিরোধী ৩১৫ সাংসদ ভোট দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক (Abhishek Banerjee) জানান, আমাদের লোকসভায় ২৮ জন, রাজ্যসভায় ১৩ জন- মোট ৪১ জনের মধ্যে সবাই ভোট দিয়েছে। এমনকী, অসুস্থ দুই সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়ও ভোট দেন।

এখন এই ১৫টি ভোট কী হল? এই প্রশ্নেই বিজেপিকে (BJP) তুলোধনা করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, গোপন ব্যালটে ভোট হয়েছে। হয় ক্রস ভোট হয়েছে, বা ভোট বাতিল হয়েছে। যেহেতু গোপন ব্যালটে ভোট- সুতরাং যে যার মতো জল্পনা করে পারছেন।

এর পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট কেনাবেচার অভিযোগ তোলেন অভিষেক। বলেন, বিজেপির অনেক টাকা। তিনি দিল্লি গিয়ে শুনেছে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও ভোট কিনতে তাঁরা জনপ্রতি ১৫-২০ কোটি টাকা খরচ করেছে। নাম করেই অভিষেকের বলেন, বিরোধীদের মধ্যে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাংসদ, আপ-এর সাংসদ প্রকাশ্যে বিজেপিকে সমর্থন করেন। শিবির বদলানো এখন তাঁদের শুধু সময়ের অপেক্ষা। তোপ দেগে অভিষেক বলেন, জনপ্রতিনিধি সাংসদে গিয়ে মানুষের আবেগকে বিক্রি করেছেন। টাকা দিয়ে পণ্য-দ্রব্য কেনা যায়, কিন্তু ভোটার কেনা যায় না। জনপ্রতিনিধি বিক্রি হন, জনতা বিক্রি হয় না।

মহারাষ্ট্র ও বিহারে ভোট কেনাবেচা করে পদ্মশিবির ক্ষমতা দখল করেছে বলে অভিযোগ করেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বাংলার ২০২১, ২০২৪-এর উদাহরণ তুলে অভিষেক বলেন, বাংলাতেও টাকার খেলা খেলতে এসেছিল বিজেপি, কিন্তু জনতা তার জবাব দিয়েছে। ২৪-এ বাংলায় পোলিং এজেন্ট কিনতে চেয়েছিল বিজেপি, বাংলার মানুষ উচিৎ শিক্ষা দিয়েছেন।

তৃণমূলের লোকসভার নেতা বলেন, যদি দেখা যায় উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ১৫টি ভোট বিরোধীরা পেয়েছিল, কিন্তু কোনও কারণে তা বাতিল হয়েছে, তাহলে ক্রস ভোটিং-এর তত্ত্ব প্রমাণ হয় না। কিন্তু যদি বাতিল হওয়ায় ১৫ ভোটের মধ্যে অর্ধেকও শাসকদলের ভোট হয়- তাহলেই বোঝা যাবে ক্রস ভোট হয়েছে।

–

–

–

–