নেপালের (Nepal) ঘটনার পর সে দেশের জেল ভেঙে পালাচ্ছে আসামিরা। জেন জি বিক্ষোভে অশান্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে অন্তত ৭০০ জন কয়েদি পলাতক বলে খবর মিলেছে। প্রথম লক্ষ্য ভারতে অনুপ্রবেশ। ইতিমধ্যেই ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিহার সীমান্ত থেকে ১৩ জন এবং উত্তর প্রদেশ সীমান্ত থেকে ১৭ জন। বুধবার যে সংখ্যাটা ছিল পাঁচ, বৃহস্পতিবার সকাল হতে না হতেই তা তিরিশে পৌঁছে যাওয়ায় চিন্তা বাড়ছে। সীমান্তের নজরদারি নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের আগুন এখনও নেভেনি নেপালে। সে দেশ সেনার দখলে চলে গেলেও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বাড়ানো হয়েছে কারফিউয়ের মেয়াদ। অস্থির অবস্থার সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জেল ভেঙে কয়েদিরা বাইরে বেরিয়ে এসেছে। মঙ্গল বুধ বৃহস্পতি তিন দিনেই শতাধিক কিশোর আসামিরা সংশোধনাগার থেকে পালিয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিকভাবে তারা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে ৩০ জনকে আটক করা গেছে কিন্তু ঠিক কতজন অনুপ্রবেশ করেছে তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে গোয়েন্দা মহলের। এভাবেই যদি অনুপ্রবেশ ঘটতে থাকে তাহলে নিশ্চিন্তে বসে থাকার মতো সময় ভারতের হাতে নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিদেশের এত আসামি যদি এদেশে প্রবেশ করে তাহলে তাঁদের আটকাতে বা ধরতে কী পদক্ষেপ করবে কেন্দ্রীয় সরকার তার স্পষ্ট কোনও রূপরেখা তৈরি হয়েছে কি? সেক্ষেত্রে সীমান্ত সুরক্ষাও প্রশ্নের মুখে।পড়শি নেপাল অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতেই সীমান্তে এসএসবি নজরদারি বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে অনুপ্রবেশের সংখ্যাটা এক লাফে অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে, তাই নজরদারি করা না হলে ভারতের জন্য সেটা সুখকর হবে না।

–

–

–

–

–

–

–

–