যাদবপুরের ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় সিসি ক্যামেরা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেট সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ইংরেজি-র তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলকে। কেন পুরো ক্যাম্পাস এখন সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নেই? প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (kunal ghosh- Jadavpur University)।

কুণাল (kunal ghosh- Jadavpur University) জানিয়েছেন,”যেকোনও মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। যাদবপুরের ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। খারাপ ঘটনা।
কেন হয়েছে কীভাবে হয়েছে সেটা পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করছেন। এখন যে বা যারা কোনও যায়গার কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করে এবার তাঁরা বলুন সেখানে কেন সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে না? সিসি ক্যামেরা বসাতে গেলে মানছি না মানব না বলা হয়। আর কোনও কোনও যায়গায় সিসি ক্যামেরা হলেই বিপ্লবীদের গায়ে লেগে যায়। এটা হতে পারে না। এই মুহূর্তে মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করব না কারণ এটার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। এই মেয়েটির মৃত্যুতে এবার রাত জাগা হবে না? যারা সিসি ক্যামেরা বসতে দেব না বলে লাফালাফি করেন তা হুজ্জুতি করতে যান তাঁদের তো এবার কৈফিয়ত দিতে হবে। এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। সিসি ক্যামেরা থাকলে অনেক জল্পনা এড়ানো যায়। সমাধান হয়।”

আরও পড়ুন- শান্ত মিষ্টু মদ্যপ! মানতে পারছেন না প্রতিবেশীরা, ইঙ্গিতপূ্র্ণ পোস্ট বিশেষ বন্ধুর

তৃণমূল নেতার আরও সংযোজন,”সেখানে অনেক মেধাবী পড়ুয়ারা আছে। আবার কিছু এমন অসভ্য আছে যারা বাবুল সুপ্রিয়, ব্রাত্য বসু, ওমপ্রকাশ মিশ্ররা সেখানে গেলে তাঁদের সঙ্গে কুৎসিত আচরণ করেন। এরাই অন্য জায়গায় গিয়ে গন্ডগোল তৈরি করে। সিসিক্যামেরা অবশ্যই বসানো উচিত।”

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক পড়ুয়াদেরও সেই একই অভিযোগ। যে কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র সিসি ক্যামেরা বসবে না? যদি সমস্ত যায়গায় সিসি ক্যামেরা বসে তাহলে যে কোনও সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব।

এই ঘটনায় যে প্রশ্নগুলি উঠছে সেগুলি হল- পুলিশ হাসপাতাল থেকে খবর পেল কেন উদ্ধারকারী সহপাঠীরা বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানাল না? পুকুরে কীভাবে গেলেন ছাত্রী? এতজনের উপস্থিতিতে একজন পুকুরে পড়লেন কেউ নজর করল না? অচৈতন্য অবস্থায় ছাত্রীকে পুকুর থেকে তোলার পরেই কেন হাসপাতাল না নিয়ে গিয়ে ওখানেই কিছুটা সময় ব্যয় করা হল?

_

_

_

_