মহালয়ার আগে শেষ রবিবার। পুজোর বাজারে ব্যস্ত শহরবাসী। কিন্তু ছুটির দিনেও সময় বাঁচাতে মেট্রো ধরতে গিয়ে কার্যত নরকযন্ত্রণা পোহাতে হল সাধারণ মানুষকে।

ভরদুপুরে রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন যেন সপ্তমীর ভিড় শ্রীভূমি প্যান্ডেল! প্ল্যাটফর্মে তিলধারণের জায়গা নেই। যাত্রীরা আধঘণ্টা ধরে মেট্রোর অপেক্ষায় যেন চাতকপাখির মতো তাকিয়ে থাকলেন। গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতার লাইফলাইন ব্লু লাইন মেট্রো যেন ‘টাইমলেস যুগে’ ফেরত গিয়েছে। কখন পরবর্তী মেট্রো আসবে, ডিসপ্লে বোর্ডের ঘড়িও স্তব্ধ। প্রায় ৪০ মিনিট পর যখন একটি মেট্রো এসে ঢুকল রবীন্দ্র সরোবরে, ততক্ষণে ক্ষোভ চরমে। কিন্তু সেই ট্রেনে ওঠা-নামা করা যুদ্ধজয়ের সমান। এক মেট্রোয় জমেছে বনগাঁ লোকাল আর দু’টি ক্যানিং লোকালের যাত্রী। ভিড়ের চাপে দরজা বন্ধ হচ্ছে না। ভেতরে চিৎকার-হাহাকার।

টালিগঞ্জের গৃহবধূ অপর্ণা বসাক শিশুকে নিয়ে উঠেছিলেন সেই মেট্রোয়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই শ্বাসকষ্টে কার্যত অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই বাধ্য হয়ে কালীঘাটেই নেমে গেলেন তিনি। ক্ষোভ উগরে দিয়ে বললেন, “এইভাবে থাকলে দমবন্ধ হয়ে মারা যাব। এর চেয়ে বাসে ঘেমে গেলেও অন্তত মরতে হবে না।”

যাত্রীদের অভিযোগ, একে নিরাপত্তা ও নজরদারি প্রায় নেই, দিনেদুপুরে স্টেশনেই ঘটে যাচ্ছে রক্তাক্ত ঘটনা। তার উপর এই অব্যবস্থা। ফলে কলকাতা মেট্রো এখন আর যাত্রার স্বস্তি নয়, যন্ত্রণার প্রতীক।

আরও পড়ুন – টাটানগরে বাংলায় কথা বলায় নির্মাণ শ্রমিককে কোপ! আতঙ্কে পরিবার

_

_

_

_

_
_