তিন বছর পর রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। দুবছর অশান্তির সময় নীরব প্রধানমন্ত্রী অবশেষে মনিপুর যাওয়ার সময় পেয়েছেন। তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে মনিপুর (Manipur)। কিন্তু আদতে তাতে কী কোন লাভ হয়েছে মনিপুরের বাসিন্দাদের। আদৌ মনিপুরের জাতিসংঘর্ষ নিয়ে কোন আশার কথা শোনাতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নিজের মনিপুর সফরে। উপরন্তু মোদি (Narendra Modi) ঘুরে যাওয়ার পরই ফের অশান্তি ছড়ালো মনিপুরের চূড়াচাঁদপুরে। সেখানেই কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্ন, এত খরচ করে প্রধানমন্ত্রীর ঘুরতে আসার কী অর্থ?

জাতিসংঘর্ষে দুবছর ধরে জ্বলন্ত মনিপুরে নিয়মমাফিক সফর সারলেন প্রধানমন্ত্রী। যে ধরনের উন্নয়নের ঘোষণা তিনি করেছেন তাতে কোনওভাবেই মনিপুরের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে উন্নয়নের বার্তা নেই। কংগ্রেস সাংসদ বিমল আকোইজমের প্রশ্ন, যে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তাতে পাহাড় থেকে কুকি সম্প্রদায়ের মানুষ সমতলে এসে পরিষেবা পাবেন না। আবার সমতলের মানুষ বাণিজ্য বা অন্য প্রয়োজনে পাহাড়ে যেতে পারবে না। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের কী অর্থ।

শনিবার প্রধানমন্ত্রীর মনিপুর সফরের অঙ্গ ছিল চুড়াচাঁদপুর (Churachandpur) এবং রাজধানী ইম্ফল। চুড়াচাঁদপুরে সভা চলাকালীন স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছিলেন, এত দেরিতে কেন প্রধানমন্ত্রী তাদের রাজ্যে? শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন? সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর স্বাগত জানানো ব্যানার ছিঁড়েছিল স্থানীয় কিছু কুকি যুবক। প্রধানমন্ত্রীর মন রাখতে সেই যুবকদের গ্রেফতার করে মনিপুর প্রশাসন।

আরও পড়ুন: মৌসুমী বায়ুর বিদায়ের পরও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা! সকাল থেকেই ভিজল বাংলা

এই ঘটনার জেরেই প্রধানমন্ত্রী মনিপুর ছেড়ে বেরোতেই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে চূড়াচাঁদপুর। কুকি যুবকের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ, পাথরবাজি শুরু হয় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে। চুড়াচাঁদপুর (Churachandpur) থানা ঘেরাও করে কয়েকশো কুকি (Kuki) যুবক বিক্ষোভ দেখায়। চাপে পড়ে গ্রেফতার করা যুবকদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় মনিপুর পুলিশ। কার্যত শান্তি প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা, মনিপুরকে আরও একবার অশান্ত করে মনিপুর ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

–

–

–

–

–