প্রতিপদের শুভ লগ্নে আজ, সোমবার বড়িশা ক্লাবের (Barisha Club) পুজো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে একইমঞ্চে দেখা গেল পহেলগাঁও হামলায় (Pehelgam Terror Attack) নিহত বিতান অধিকারীর বাবা-মাকে। মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে কেঁদে ফেললেন বৃদ্ধ এই দম্পতি। এরপরেই তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাহস জুগিয়ে বললেন, “এখন কাঁদলে হবে না। শরীর খারাপ হবে। একটা ছেলে গিয়েছে ঠিকই। বাবা মায়ের সঙ্গে সন্তানের রক্তের সম্পর্ক অনেক দৃঢ়। কিন্তু এত ছেলে রয়েছে আপনাদের।” তিনি বলেন, ”উৎসবের দিনেও তাঁরা আমার পাশে আছেন। আমার সঙ্গে সবসময় ওনাদের যোগাযোগ থাকে। যেকোন প্রয়োজনে বাড়ির লোক হিসেবে আমরা চেষ্টা করি ওনাদের যেন কোন অসুবিধা না হয় সেদিন লক্ষ্য রাখার।”

আরও পড়ুনঃ নচিকেতার স্বাস্থ্য নিয়ে ধমক, সুস্থ থাকার টিপস মুখ্যমন্ত্রীর

এরপরেই পহেলগাঁও ইস্যুর পর বিরোধীদের আচরণ নিয়ে মঞ্চ থেকে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “কেউ কেউ ঘটনার পর যোগাযোগ করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল কিন্তু কই তাঁদের তো আর দেখা যাচ্ছে না। অনেকেই আছেন যারা প্রথম দিন এল, ছবি তুলল কিন্তু তাদের আর দেখা গেল না। নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর কাণ্ডের এতবছর পরও শহিদদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। ৯৩ সালের ঘটনা, এতবছর পরও একুশে জুলাই শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। আমরা পরিবারগুলোকে মনে রাখি।”

এদিন শহরের একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে বেহালার বড়িশা ক্লাবে যান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। এছাড়া পাশে ছিলেন পহেলগাঁও কাণ্ডে নিহত বিতান অধিকারীর বাবা-মা। মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী দলের স্থানীয় নেতাদের নির্দেশ দেন, সবসময় দম্পতির খোঁজ রাখার এবং তাঁদের পাশে থাকার।

–

–

–

–

–

–