রেকর্ড বৃষ্টি। গত ৪০ বছরে কলকাতা এরকম বিপর্যয় দেখেনি। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। একদিকে যেমন সকাল থেকে রাস্তায় রয়েছেন কলকাতার (Kolkata) মেয়র ফিরহাদ হাকিম, তেমনই তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) সকাল থেকে রাস্তায়। তাঁর ক্লাব রামমোহন সম্মিলনীর এবারের থিম ‘গয়না বড়ি’। তাই দিয়েই মণ্ডপসজ্জা। মেদিনীপুর থেকে এসেছেন শিল্পীরা। এই বিপর্যয় তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কুণাল-সহ এলাকার মানুষ।

মানিকতলা, সুকিয়া স্ট্রিট, আমহার্স্ট স্ট্রিট- এই অঞ্চলটা চিরকালই বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কলকাতা পুরসভার চেষ্টায় দ্রুতজল নামলেও জলযন্ত্রণার ভোগ করতেই হয়। তবে এদিনের বৃষ্টি একেবারেই ব্যতিক্রম। সারা মহানগরী জলমগ্ন। তার উপর দুয়ারে পুজো। আজ দ্বিতীয়া। ফলে সব জায়গায় চলছে শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি। রামমোহন সম্মিলনী গত কয়েক বছর ধরে ব্যতিক্রমী থিম করে উত্তর কলকাতার পুজোর নজর কাড়েছে। এই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এবারে তাঁদের থিম ‘গয়না বড়ি’। সুদূর মেদিনীপুর থেকে শিল্পীরা এসেছেন মণ্ডপ সজ্জার জন্য। কিন্তু এই বৃষ্টিতে যেমন মণ্ডপের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই একইসঙ্গে শিল্পীদের থাকা-খাওয়ার চূড়ান্ত সমস্যা। সকাল থেকে রাস্তার হাঁটু জলে নেমে পরিস্থিতির তদারক করছেন কুণাল। সঙ্গে রয়েছেন ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরাও। এলাকার বাড়িতে বাড়িতে বেশি করে রান্না করা হচ্ছে খিচুড়ি। তাই দেওয়া হচ্ছে শিল্পীদের। একই সঙ্গে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তবে শুধু নিজের পাড়ার পুজোই নয়, আশপাশের যে পুজোমণ্ডপগুলি আছে সেখানেও হাঁটু জল পেরিয়ে গিয়ে সরেজমিনে দেখে এসেছেন কুণাল। খবর নিয়েছেন নিচু বাড়িতে একতলায় থাকা মানুষের সমস্যার বিষয়ও। রিকসা চালকদেরও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এই জলমগ্ন পরিস্থিতিতে যাঁরা সওয়ারি নিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের উৎসাহ দিয়েছেন কুণাল।

–

–

–

–

–
