সোমবার রাতভর কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে অচলাবস্থার মুখে পড়ল কলকাতা ও আশপাশ। শহরের রাস্তাঘাট থেকে আবাসন, রেললাইন—সবেতেই জল দাঁড়িয়ে যায়। শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে একাধিক লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হয়। বিমানবন্দরেও উড়ান পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। সাময়িক ভাবে বন্ধ হওয়ার পর মেট্রো আংশিক চালু হলেও বন্ধ থাকে চক্ররেল। সব মিলিয়ে সাধারণ মা নুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।

সকালে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। নামখানা, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, বজবজ লাইনের যাত্রীরা মাঝপথে আটকে পড়েন। টিকিয়াপাড়া কারশেড ও চিৎপুর রেল ইয়ার্ডে জল ঢুকে পড়ায় হাওড়া ডিভিশনের একাধিক লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হয়। হাওড়া–পুরী ও হাওড়া–এনজেপি বন্দে ভারত ছাড়াও শতাব্দী, গণদেবতা, ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস চলেনি। বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন আটকে থাকে দীর্ঘ সময়।

বিমানবন্দরেও প্রভাব পড়ে। সকালে তিনটি বিমান বাতিল করতে হয়, একটিকে ভুবনেশ্বরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। দিনের হিসাবে প্রায় ৩০টি উড়ান দেরিতে ছাড়ে। কর্মীদেরও বিমানবন্দরে পৌঁছতে সমস্যা হওয়ায় শিডিউল ভেঙে যায়।

শহরে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বহু গাড়ি মাঝপথে বিকল হয়ে পড়ে, যানজট বাড়ে। হাওড়াতেও একই ছবি। বাস নামানো কমে যায়, গতি অত্যন্ত শ্লথ হয়।

মেট্রো টানেলে জল ঢুকে যাওয়ায় সকালেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। পাম্প বসিয়ে জল বার করার পর ধাপে ধাপে চালু হয় ট্রেন। দুপুর থেকে আংশিক পরিষেবা মিললেও সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরো লাইনে ট্রেন চলেনি। ট্রেন কম থাকায় ভিড় বাড়ে, অনেকেই উঠতে পারেননি। টোকেন ফেরত নেওয়া হলেও ভাড়া ফেরত না দেওয়ায় যাত্রীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে গ্রিন, ইয়েলো ও পার্পল লাইনের পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। সব মিলিয়ে শহরের রাস্তাঘাট থেকে রেল–বিমান—সব ক্ষেত্রেই বৃষ্টির ছন্দপতন, নিত্যযাত্রীরা পড়লেন চরম দুর্ভোগে।

আরও পড়ুন- সীমান্তে জোরদার নজরদারি! বসিরহাটে ইন্টারগেট কন্ট্রোল রুম চালু

_

_

_

_
_