আদালতে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি (BJP) নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বিরুদ্ধে। সেই মামলায় এই দিন এক্সপার্টি করে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। আপাতত মিঠুন ও তাঁর পরিবারকে জড়িয়ে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করা যাবে না। কুণালকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। এই নির্দেশ নিয়ে কুণালের সহাস্য জবাব, নাম করব না।

চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে মিঠুন জড়িত বলে মন্তব্য করেন কুণাল। তৃণমূল ছেড়ে মিঠুন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুধুমাত্র নিজেকে ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে বাঁচতে। কুণালের এই অভিযোগের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিলেন জাত গোখরো। কুণালের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার বেশি মানহানির মামলা করেন মিঠুন চক্রবর্তী। কুণাল খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, “যাঁর মান থাকে, তাঁর মানহানি হয়। ওঁর মান আছে নাকি যে মানহানি হবে! যিনি তদন্তের ভয়ে এতবার দল বদল করেন তাঁর মানসম্মান আছে!” চিটফান্ড প্রসঙ্গে কুণাল বলেছিলেন, “চার-পাঁচটি চিটফান্ডের সঙ্গে ওর কী সংযোগ ছিল, সেটা আমি কোর্টে বলব। পুরোটা সিবিআই তদন্ত করুক।” বুধবার, সেই মামলার শুনানিতে নোটিশ সার্ভ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ডিসেম্বরে। তার আগে মিঠুনের সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারবেন না কুণাল।

এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে কুণাল জানান, এই বিষয়ে আমি সরাসরি জানি না। আদালতে (Calcutta High Court) এক্সপার্টি করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরেই কুণালের সহাস্য জবাব, আমি মিঠুনদার নাম করব না। বলব, গরমকালে যিনি গরম কোর্ট আর টুপি পরে ঘোরেন। যিনি ৪-৫টি চিটফান্ডের সঙ্গে যুক্ত- আপনারা যা বোঝার বুঝে নেবেন।

–

–

–

–

–

–

–
–