রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টিতে জমাজলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুরসভা (KMC) ও CESC-র কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ নভেম্বর। সেখানেই সব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।

সোমবার রাতভর রেকর্ড বৃষ্টিতে বানভাসি কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকা। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পার্কসার্কাস, ভবানীপুর, একবালপুর, তারাতলা, মোমিনপুর, যাদবপুর, নেতাজিনগর, ঠাকুরপুকুর-সহ একাধিক এলাকায় মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়। তার জেরে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার, বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ছিল। সেই ঘটনায় নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে পুরসভার কাছে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য, তা জানাতে হবে রিপোর্টে। যদিও ইতিমধ্যেও মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য এবং পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও খবর: প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের হোটেলে আগুন, ঘটনাস্থলে চারটি ইঞ্জিন

পাশাপাশি, দুর্ঘটনা এড়াতে CESC কী পদক্ষেপ করছে তাও জানাতে চেয়েছে আদালত। খোদ মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, মৃত্যুর দায় সিইএসসিকেই নিতে হবে। কারণ তাঁরা উন্নয়নের কাজ করেনি। সংস্থাকে মৃতদের পরিবারকে অন্তত ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি। দায় এড়াতে সিইএসসি-র পাল্টা যুক্তি, রাস্তার আলোর পোস্ট ও ট্র্যাফিক লাইট তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। এগুলি নিয়ে তারা কাজ করে না। এখন রিপোর্ট দেখে আদালত কী নির্দেশ দেয় সেদিকেই তাকিয়ে দুপক্ষ। মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ নভেম্বর।

–

–

–

–

–

–

–