মহালয়ার পর থেকে তৃতীয়ার রাত পর্যন্ত বৃষ্টিহীন দেবীপক্ষ পায়নি দক্ষিণবঙ্গ। চতুর্থীর সকালে আরও বড় অশনি সংকেত। ঠিক যখন পুরোদমে দুর্গোৎসবের (Durga Puja Celebration) আমেজ শুরু হতে চলেছে, তখনই সাগরে সৃষ্ট অতি শক্তিশালী নিম্নচাপ। আলিপুর হাওয়া অফিস (Alipore Weather Department) এ খবর জানাতেই সোমবার রাতের টানা বর্ষণ আর মঙ্গলের দুর্ভোগের ছবিটা ফিরেছে কলকাতা ও শহরতলীর স্মৃতিতে। বৃহস্পতিবার রাতে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে তিলোত্তমায়। পূর্ব বর্ধমান এবং হুগলি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সাক্ষী থেকেছে। শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা রয়েছে। এর মাঝেই জানা গেছে, নতুন করে সৃষ্টি হওয়া শক্তিশালী নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপ হিসেবে স্থলভাগে প্রবেশ করা মাত্রই দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলীয় এলাকায় তান্ডব চালাতে শুরু করবে। বঙ্গে তার কতটা প্রভাব পড়বে, তা নিয়েই বাড়ছে উদ্বেগ।

এদিন সকাল থেকে রোদ ঝলমলে আকাশ কলকাতা ও শহরতলীতে। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলায় আগমন বার্তা স্পস্ট।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন নিম্নচাপ অঞ্চল ঘনীভূত হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে যা শনির সকালে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। এর প্রভাবে ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল এলাকায় ভারী বৃষ্টি এবং ঝড় হতে পারে। বাদ পড়বে না পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলাও। যদিও সে ক্ষেত্রে দুর্যোগের মারাত্মক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা কম। নতুন নিম্নচাপে সোমবার রাতের মতো পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা। ২৬ তারিখ রাত থেকে ২৮ তারিখ সকাল পর্যন্ত নিম্নচাপের সবচেয়ে বেশি প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়বে। আকাশ মূলত মেঘাচ্ছন্ন থাকবে, সঙ্গে চলবে বৃষ্টি। আগামী সপ্তমী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাই বর্ষণমুখর থাকবে বলে জানা গেছে।

–

–

–

–

–

–

–

–
–