ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৫তম জন্মদিনে কলকাতায় এসেও তাঁর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানানোর সৌজন্য দেখালেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার, বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত কলেজে গিয়ে তাঁর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান অভিষেক। তার পরেই শাহর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তিনি। দাবি জানান, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার জন্য ক্ষমা চান অমিত শাহ।

বিদ্যাসাগর কলেজে মূর্তি ভাঙার ৬বছর পরে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকীতে কলেজস্ট্রিট এলাকার পুজো উদ্বোধনে এসেও বাড়ি বা বিদ্যাসাগর কলেজে গিয়ে ঈশ্বরচন্দ্রকে শ্রদ্ধা জানাননি শাহ। এই নিয়ে এর পরেই শাহকে ধুয়ে দেন অভিষেক। তীব্র আক্রমণ করে বলেন, অমিত শাহের (Amit Shah) নেতৃত্বেই সেদিন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছিল। কলকাতাকে জল্লাদের উল্লাস মঞ্চে পরিণত করেছিল গেরুয়া শিবির। অভিষেকের কথায়, ”বাইরে থেকে যারা এসেছিল, উত্তর ভারতের সংস্কৃতি চাপাতে চেয়েছিল। মূর্তি ভাঙার ফল বাংলার মানুষ তাদের দিয়েছে।” সেই পাপের দায় স্বীকার করে এদিন অমিত শাহের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে দাবি জানান তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, বাংলার প্রতি অন্যায়-অবিচার এবং বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার জন্য ক্ষমা চান অমিত শাহ।

এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, “আমার সত্যি খারাপ লাগল আমি যখন শুনলাম ঠিক ১০ মিনিট দূরে তিনি একটি পুজো উদ্বোধন করতে এসেছেন। অথচ তাঁর এতটুকু বিবেকবোধ নেই যে ১০ মিনিট দূরে বিদ্যাসাগরের বাড়ি বা বিদ্যাসাগর কলেজে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করি। এই জন্যই এদের বাংলা বিরোধী বলি।”

রাজ্যের সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যাসাগরের স্মৃতিরক্ষার্থে যে কাজ হয়েছে, তার খতিয়ান তুলে ধরেন অভিষেক। জানান, জনজোয়ার যাত্রার সময় তিনি বীরসিংহ গ্রামে ঈশ্বরচন্দ্রের ভিটায় গিয়েছিলেন। আড়াই কোটি ব্যয় রাজ্যের তরফে ওই অঞ্চলে বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত পার্ক থেকে শুরু করে বাস্তুভিটা সংরক্ষণ ও সৌন্দ্যর্যায়নের কাজ করা হয়েছে। অভিষেকের কথায়, বাংলার দার্শনিক-মনীষীদের ভুললে চলবে না।

–

–

–

–

–

–