বৃষ্টির পূর্বাভাসের (Rain forecast) জেরে আগেভাগে ঠাকুর দেখার যে ট্রেন্ড মহালয়া থেকে তৈরি হয়েছে, চতুর্থীর রাতে তা একেবারে একশো শতাংশ মেনে চলল ঢাকের তালে পুজো উচ্ছ্বাসে মেতে চলা বাঙালি (Durga Puja Celebration)। ৩৬০ দিন অপেক্ষা করা গেছে, তাই এই পাঁচ দিনের সঙ্গে আর কোনও আপোষ নয়। এই আনন্দে বাধা দেওয়ার অধিকার যেন প্রকৃতিরও নেই। তাই শাস্ত্রমতে দেবীর বোধনের আগেই মন্ডপ থেকে প্রতিমা দর্শনে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস বঙ্গ জনজীবনে। কলকাতা থেকে কল্যাণী, ছবিটা এতটুকু বদলাইনি।
মহানগরীর সব বড় বড় পুজোর উদ্বোধন হয়ে গেছে। তাই সপরিবারে কিংবা প্রিয় মানুষের হাতে হাত রেখে পুজো দর্শন শুরু হতে বাধা কোথায়? তাইতো অফিসের অফিশিয়াল ছুটি হোক বা না হোক, মেঘ চোখের আড়াল হতেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে মানুষের পুজো উচ্ছ্বাস ধরা দিল চতুর্থীর রাতে। সুরুচি সংঘ, শ্রীভূমি স্পোর্টিং, টালা পার্ক, নিউটাউন সর্বজনীন – সর্বত্রই দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে হিমশিম অবস্থা পুজো উদ্যোক্তাদের। কিশোর-কিশোরীদের মোবাইল গ্যালারি ইতিমধ্যেই ভরে গেছে। আবার যুবক-যুবতীদের সেলফি স্টিক সামলে কখনও ছাতা মাথায় দেখা গেল, তো কখনও আবার ভিড় ঠেলে দশভূজা দর্শনে ঘর্মাক্ত অবস্থা। কিন্তু কেউ ক্লান্ত নন, কারণ সকলের মাথায় দুশ্চিন্তা যদি বৃষ্টিতে পুজো ভেস্তে যায় তাই আগেভাগে দেখে নেওয়াটাই শ্রেয়।
মফস্বলের পুজোগুলোরও উদ্বোধন প্রায় শেষ তাই পঞ্চমীর সকাল হতে না হতেই কচিকাঁচাদের নিয়ে অনেকেই পুরোদমে পুজোর মেজাজ উপভোগ করতে বেরিয়ে পড়লেন। কে বলবে শাস্ত্রমতে পুজো শুরু হতে এখনও একদিন বাকি।

–

–

–

–

–

–

–

–
