জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার অঞ্চলের ডুয়ার্সের চা-বাগান মহল্লা এবার এক অন্য আবহে ভরপুর। মহিষাসুরের বংশধর বলে পরিচিত অসুর সম্প্রদায়ের মানুষজন, যাঁরা এতদিন দুর্গাপুজোর সময় শোকের আবহে দিন কাটাতেন, তাঁরাও এবার পুজোর আনন্দে সামিল হয়েছেন। নাগরাকাটা থেকে বানারহাট—চা-বাগানের শ্রমিক পরিবারগুলিতে সপ্তমীর ঢাকের সঙ্গে মিলেছে খুশির হাসি।
অসুর সম্প্রদায়ের মহিলারা নিজের হাতে বানিয়েছেন নারকেল-তিলের নাড়ু, ছাঁচে তৈরি মিষ্টি। নতুন জামাকাপড় পরে শিশুরা মাতছে আনন্দে। একদিকে ঐতিহ্য, অন্যদিকে সামাজিক অংশগ্রহণ—সব মিলিয়ে এবারের উৎসব তাঁদের কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা।
চা-শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের ঘোষিত ২০ শতাংশ বোনাসে খুশির জোয়ার এসেছে বাগানগুলিতে। সম্প্রদায়ের তরফে জোসনা অসুর বলেন, “আমরা প্রত্যেকেই চা-বাগানের শ্রমিক। মুখ্যমন্ত্রীর এই সহায়তা আমাদের জীবনে স্বস্তি এনেছে। এবারের পুজো আগের তুলনায় অনেক বেশি আনন্দের।”
জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া গোপ জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা শ্রমজীবী মানুষের পাশে আছেন। তাঁর কথায়, “অসুর সম্প্রদায়ের মানুষজনও এবারে পুজোয় সমানভাবে আনন্দে মেতে উঠেছেন। এটাই শ্রমিকবান্ধব নীতির সাফল্য।” অসুর-বধের ঐতিহাসিক ক্ষতকে পেছনে ফেলে এবার উৎসবের আলোয় ভরে উঠেছে মহিষাসুরের উত্তরসূরিদের ঘর। ডুয়ার্সে তাই এবারের দুর্গোৎসব কেবল দেবী আরাধনার নয়, মেলবন্ধনেরও প্রতীক।
আরও পড়ুন – বাংলার দুর্গাপুজোর হেরিটেজ স্বীকৃতিতে মিথ্যাচার মোদির কড়া জবাব তৃণমূলের
_
_
_
_
_
_
