ওদের হাত ধরে ঠাকুর দেখানোর কেউ নেই। তাই কী দুর্গাপুজোর এই আলো, রোশনাই থেকে দূরে থাকবে ওরা? সেটা হলে যে মা উমাও শান্তি পাবেন না ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি এসে। কারণ ওরাও যে মায়ের সন্তান। নিজেদের মা-বাবা ছেড়ে গেলেও কোনও না কোনও মাধ্যমে মা উমা ওদের নিজের কাছে টেনে নেবেনই। আর এবার সেই মাধ্যম বসিরহাটের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সপ্তমীতে মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে ঠাকুর দেখল বসিরহাটের অনাথ শিশুরা।

বসিরহাটের দুটি অনাথ আশ্রমের প্রায় ৫০ জন কচিকাঁচার তাদের হাত ধরে বসিরহাটের বড় বড় পুজো প্রদক্ষিণ করালো তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্র-ছাত্রীরা। দুটি বাস ভাড়া করে পুরো পিকনিকের মুডে বসিরহাটের বিভিন্ন মণ্ডপে ঘোরানো হল। আর পিকনিক মানেই খাওয়া দাওয়াও থাকবেই। মেনুতে ছিল ফ্রাইড রাইস আর চিলি চিকেন। উদ্দেশ্য অনাথ ওই কচিকাচাদের মুখে হাসি ফোটানো।

ঠাকুর দেখতে বেরোনো এক শিশুর কথায়, ‘আমাদের বাবা-মা বা পরিজন তো কেউ নেই। তাই এই দাদা দিদিরা প্রতিবছরই আমাদেরকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে নিয়ে যায় এবং রকমারি খাবার খাওয়ায়। আমরা যা পেয়ে খুবই উচ্ছসিত।’

আরও পড়ুন: শোভাবাজার রাজবাড়িতে প্রতিমা দর্শন, রাজ্যবাসীকে বাংলায় শুভেচ্ছা রাজ্যপালের

এই কর্মকান্ডের মূল উদ্যোক্তা বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অভিষেক মজুমদার বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য এই বাচ্চাদের মুখে হাসি ফোটানো। প্রতি বছরই আমরা এই শিশুদের নিয়ে ঠাকুর দেখতে বের হই। সারা বছর ধরে আমরা ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের পয়সা জমিয়ে তাদের আনন্দের ব্যবস্থা করি।’

–

–

–

–

–