পাহাড়ে অতিবৃষ্টির জেরে প্রবল ধসে ভেঙে পড়েছিল মিরিকের লোহার সেতু। সেই সেতু ভেঙে অনেকের মৃত্যু হয়েছিল বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছিল বিরোধীরা। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এক্স বার্তায় জানিয়েছিলেন সে কথা। সোমবার উত্তরবঙ্গে দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পাল্টা দিলেন। সাফ জানিয়ে দিলেন, সেতু ভেঙে কারও মৃত্যু হয়নি। প্রবল দুর্যোগে ধস নেমে এবং বন্যাকবলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদির এক্স বার্তার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, সেতু ভেঙে কেউ মারা যাননি। আপনারা যা শুনেছেন, তা সত্য নয়। কেউ ভুল তথ্য দিয়েছেন। দুর্যোগের কারণে উত্তরবঙ্গে যে সেতুগুলি ভেঙেছে, তা আবার তৈরি করে দেওয়া হবে। যে সেতুগুলি ভেঙেছে, সেগুলি ছোট। আমাদের মিরিক সেতু নির্মাণ করতে হবে। এই সেতু তৈরি করতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে। আপাতত, একটি অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হচ্ছে। তবে সেই সেতুও তৈরি করতে ২০ দিন সময় লাগবে। আজ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মিরিক পরিদর্শনে যাবেন।

সেতু ভাঙার জবাব দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আবার একবার ইন্দো-ভুটান নদী কমিশনের দাবিও জানান। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লেখা হয়েছে। কিন্তু কোনও জবাব মেলেনি। তাঁর কথায়, এই ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন না হলে এর ফল ভুগতে হবে উত্তরবঙ্গকে। কেন ইন্দো-ভুটান নদী কমিশনের প্রয়োজন, এদিন তার ব্যাখ্যাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট কথা, পশ্চিমবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের উদাসীনতাই দায়ী। ডিভিসির ছাড়া জলে ভেসে যায় দক্ষিণবঙ্গ। আর নেপাল, ভুটান, সিকিমেল জলে উত্তরবঙ্গ। ভুটানে ৫৬টি নদী রয়েছে। সিকিমে ৪০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। তাই সমস্ত জল উত্তরবঙ্গে আসে। তাঁর আরও অভিযোগ, প্রয়োজন মতো ফরাক্কা বাঁধ খনন করা হয় না।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার কথাও তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, কেন্দ্র আমাদের বন্যা ব্যবস্থাপনার জন্য কোনও অর্থ দেয় না। গঙ্গা পরিষ্কারের জন্য গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানও বন্ধ করে দিয়েছে। এটা বাংলার প্রতি বঞ্চনা।

আরও পড়ুন – উত্তরবঙ্গের বন্যায় ত্রাণসেবায় PHA, BMOH ইরফান হোসেনের নেতৃত্বে মেডিক্যাল ক্যাম্প

_

_

_

_
_