ফের নিজেকে যুদ্ধ বন্ধের কারিগর দেখানোর চেষ্টা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (US President Donald Trump)। বুধবার রাতে ট্রাম্প নিজেই ঘোষণা করে জানিয়েছেন এই তথ্য়। তিনি জানিয়েছেন, এই চুক্তির আওতায় গাজা উপত্যকায় (Gaza Strip) অবিলম্বে সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, মুক্তি পাবে বহু বন্দি এবং ইসরায়েলি সেনা ফিরে যাবে নির্ধারিত সীমান্তে।
দীর্ঘদিনের যুদ্ধ শেষে এক নতুন রাজনৈতিক বোঝাপড়ার পথে হাঁটল ইসরায়েল (Isreal) ও হামাস(Hamas)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজা যুদ্ধবিরতির ‘প্রথম ধাপের’ এক শান্তিচুক্তিতে (Peace plan) সম্মত হয়েছে দুই পক্ষই। গাজা যুদ্ধের শুরুর থেকে এই প্রথম উভয় পক্ষ কোনও নির্দিষ্ট শান্তিপথে আনুষ্ঠানিকভাবে এগোতে সম্মত হলো। ট্রাম্প বলেন, “আমি অত্যন্ত গর্বিত যে, আমার নেতৃত্বে এই প্রথম ধাপের শান্তিচুক্তিতে উভয় পক্ষ স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির লক্ষ্য শুধু যুদ্ধ থামানো নয়, বরং গাজা ও ইসরায়েলের মানুষের জন্য দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।” তিনি কাতার, মিশর ও তুরস্ককে মধ্যস্থতা করার জন্যও ধন্যবাদ জানান।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু(Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu) এই চুক্তিকে ‘নৈতিক জয়’ হিসেবে বর্ণনা করে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণ্ণ রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, “যুদ্ধ কখনওই স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। এই চুক্তি আমাদের সাহসিকতার এক নতুন অধ্যায়।” আরও পড়ুন: মোডেম নিয়ে পালিয়ে বিপাকে বরাহনগরে সোনার দোকানে খুন-ডাকাতির অভিযুক্তরা

অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi) এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। নিজের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, গাজা অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় এটি এক ‘গঠনমূলক পদক্ষেপ’। মোদীর মতে, আলোচনাই কূটনীতির সব সমস্যার পথ খুলে দিতে পারে। তিনি নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব ও ট্রাম্পের প্রয়াসকে প্রশংসা করে বলেন, “ভারত সবসময় শান্তির পক্ষেই থেকেছে।”

চুক্তির প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি বন্দিদের মুক্তি, গাজার অসহায় জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং সীমান্ত অঞ্চল থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সরে যাওয়া— এই তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই ধাপ কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা। তবে এই চুক্তির দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে।

–

–

–

–

–
