আটদিন পরে সৎকার সম্পন্ন হল হরিয়ানার আত্মঘাতী আইপিএস ওয়াই পূরণ কুমারের দেহের। উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। সেখানে তাঁর মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন তাঁর স্ত্রী আইপিএস অমনিত কুমার। অন্যদিকে অশান্তির আঁচ হরিয়ানার (Haryana) লধৌত গ্রামে। সেখানে আত্মঘাতী আরেক পুলিশ কর্মী সন্দীপ কুমারের পরিবার দেহ ময়নাতদন্তের (postmortem) জন্য পুলিশের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করে। পূরণ কুমারকে দুর্নীতির কাঠগড়ায় তুলে আত্মঘাতী (suicide) হয়েছিলেন সন্দীপ।

প্রয়াত আইপিএসের দেহের ময়নাতদন্তের কারণে দেহ সৎকার করতে কিছুটা দেরি হয়। বুধবার তাঁর বাড়িতে অন্তিম সংস্কারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানার ডিজিপি ও পি সিং, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুমিতা মিশ্র। তাঁদের সামনেই প্রয়াত আইপিএসের আইপিএস স্ত্রী নিরপেক্ষ তদন্তের (impartial enquiry) দাবি জানান। ইতিমধ্যেই সন্দীপ কুমারের মৃত্যুতে পূরণ কুমারের তোলা জাতপাতের অভিযোগের তীব্রতা কিছুটা লঘু হয়েছে। তবে সেই ইস্যুকে কোনওভাবেই ব্যাকফুটে ঠেলতে চায় না তাঁর পরিবার। এদিন কাজের সময় দলিত সম্প্রদায়ের একাধিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও একই দাবিতে সরব হন।

তবে লধৌত গ্রামে অশান্তির পরিস্থিতি আঁচ করেই কড়া নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। প্রয়াত পুলিশকর্মী সন্দীপ কুমারের প্রতিবেশী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। তাঁরা আইপিএস পূরণ কুমারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান। তাঁদের দাবি সন্দীপ দুর্নীতির (corruption) মুখোশ খুলতে প্রাণ দিয়েছে। সেই ঘটনায় যতক্ষণ না প্রশাসনের তরফ থেকে নিরপেক্ষতার আশ্বাস তাঁরা পাচ্ছেন, ততক্ষণ দেহ ছাড়বেন না তাঁরা।

আরও পড়ুন: হরিয়ানায় আত্মঘাতী আরও এক পুলিশকর্মী: দায়ী করলেন আত্মঘাতী IPS-কেই!

এই পরিস্থিতিতে সন্দীপ কুমারের মৃত্যুর তদন্ত বাধা পাচ্ছে। দেহের ময়নাতদন্তে দেরি হলে তা তদন্তে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলেই অনুমান পুলিশের। প্রশাসনিক ও পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা কোনওভাবেই পরিবারকে দেহ হস্তান্তরে রাজি করাতে পারেননি। পরিবার এখনও সন্দীপের তিন পাতার সুইসাইড নোট (suicide note) ও ছয় মিনিটের ভিডিও (video) থেকে যথাযথ তদন্তের দাবিতেই সরব।

–

–

–

–

–


