সামনেই কালীপুজো ও দীপাবলি। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মতলার শহিদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে গেল বাজি বাজার আর সেই বাজার পরিদর্শনে আসেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা (Manoj Verma)। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি নিষিদ্ধ বাজি ও সবুজ বাজি নিয়ে সতর্ক থাকার কথা জানালেন।

কলকাতা পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মোট ১ হাজার ৪০৩টি বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থার বাজি বাজারে বিক্রি করার জন্য বৈধ বলে গণ্য হবে। বাজারে শুধুমাত্র বৈধ বাজি বিক্রি হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে নজর দেওয়া হবে। প্রতিটি দোকানের মধ্যে যথেষ্ট পরিমান ফাঁক রাখা হয়েছে কিনা, সেটিও নজরে থাকবে। ধর্মতলার মোট ৩৭টি বাজির স্টল রয়েছে। আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত বাজারটি চলবে বড়বাজার ফায়ারওয়ার্ক্স ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুবিধার্থে কালীপুজো ও দীপাবলির সময় পুলিশ বিশেষ নজরদারি চালাবে। তবে নিয়ম অমান্য করে নিষিদ্ধ বাজি কেনা-বেচা করলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে সাফ জানান নগরপাল।

প্রসঙ্গত, বুধবার পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন নগরপাল। কালীপুজো শৃঙ্খলা বজায় রেখে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতেই মূলত বৈঠক ডাকা হয়। মনোজ ভার্মা জানিয়ে দেন, ‘গ্রিন বাজিতে অনুমতি রয়েছে, এছাড়া যে বাজিগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলি কোনওভাবেই বিক্রি করা যাবে না। নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর শাস্তি হতে পারে।’ আগামী ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর, এই তিনদিনের মধ্যে শহরের সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে বিসর্জনের সময়েও মানতে হবে নিয়ম। চলতি বছর ডিজে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ও দমকল বিভাগের ২০১৯ সালের জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ সেই কথাও আরো একবার জানান নগরপাল।

আরও পড়ুন – দুর্গত এলাকাতেও রাজনৈতিক প্রচার! শুভেন্দুর ‘ঔদ্ধত্যে’ ত্রাণ ফেরালেন ক্ষুব্ধ বানভাসীরা

_

_

_

_

_

_
_


