সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে একসঙ্গে মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে সব নজির ছাপিয়ে গেল শুক্রবার। একসঙ্গে ২০৮ মাওবাদী অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ (surrender) করল ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh)। এরফলে ছত্তিশগড়ের অবুঝমাড় (Abujhmad) এলাকা পুরোপুরিভাবে মাও-শূন্য হল, বলেই দাবি রাজ্যের যৌথ বাহিনীর।

সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে কিষেণজির (Kishanji) ভাই আত্মসমর্পণ করে। এরপর মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) একটি বিরাট সংখ্যায় মাওবাদী আত্মসমর্পণের ঘটনা ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাড়নবিশের উপস্থিতিতে প্রায় ৬০ মাওবাদী সেখানে আত্মসমর্পণ করে। তবে ধারে ভারে সেই সংখ্যাকে অতিক্রম করে গেল ছত্তিশগড়।

শুক্রবার ছত্তিশগড়ের জগদলপুরে (Jagdalpur) আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠান হয়। সেখানে ২০৮ জন মাওবাদী মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাইয়ের (Vishnu Deo Sai) উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করে। রাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হয় ১৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্র (fire arms)। অস্ত্রের মধ্যে একে-ফর্টিসেভেন (AK-47), ইনসাস (Insus), এসএলআর (SLR), এলএমজি (LMG) প্রভৃতি অস্ত্র রয়েছে। এই মাওবাদীরা মূলত ছত্তিশগড়ের দণ্ডকারণ্যের বিভিন্ন এলাকার। এর মধ্যে রয়েছে মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির (central committee) সদস্য রূপেশ ওরফে সতীশ।

আরও পড়ুন: তিনবার হামলা কপিলের ক্যাফেতে! দায় স্বীকার করে হুঁশিয়ারি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের

ছত্তিশগড় প্রশাসনের দাবি, এই আত্মসমর্পণের পরে গোটা অবুঝমাড় এলাকা মাওবাদী শূন্য হবে। ছত্তিশগড়ের উত্তর বস্তার এলাকাও একইভাবে মাও-শূন্য হবে। এর আগে ২০২৫ সালের শুরুতে একবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) ঘোষণা করেছিল ছত্তিশগড়কে মাওবাদ-শূন্য (Maoist-free) বলে। যদিও সেই তথ্য যে কতটা অসম্পূর্ণ ছিল, শুক্রবারের আত্মসমর্পণের ঘটা, সেটাই আবার প্রমাণ করেছে।

–

–

–

–

–
–