শুক্রবার চিকিৎসকদের পর্যালোচনার পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল দুর্গাপুরের নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়াকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর কলেজের হস্টেলে। সঙ্গে যান তাঁর মা। অন্যদিকে গ্রেফতার পাঁচ অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার (rape victim) সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে নতুন করে পরাণগঞ্জের জঙ্গল থেকে নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা (forensic team)।

গত সপ্তাহের শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের (Durgapur) বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া গণধর্ষিতা হন বলে অভিযোগ। শনিবার পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পরই নির্যাতিতা তরুণীকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তদন্তে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয় নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসেফ আলিকে। এরপর বুধবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পরে জঙ্গলের (place of occurrence) আরও ৫০ মিটার বেশি ঘিরে ফেলে পুলিশ। শুক্রবার ফের সেখানে যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। সংগ্রহ করা হয় বেশ কিছু এলাকার মাটি। বুধবার ওয়াসেফের গ্রেফতারির পরে নির্যাতিতার বাবাও তাকে অভিযুক্ত বলে দাবি করেন।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে ঘটনাস্থল থেকে মিলল কন্ডোম! ধৃত সহপাঠীর বয়ানে বাড়ছে ধোঁয়াশা

অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুক্রবার হাসপাতালের তরফে বিবৃতি জারি করে ছুটি দেয় নির্যাতিতাকে। জানানো হয়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে নির্যাতিতার শারীরিক ও মানসিক দিক বিবেচনা করে তাকে ছুটি দেওয়া হয়। তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর নজর রাখা হবে হস্টেলেও। হস্টেলে তাঁর মাকেও নির্যাতিতার সঙ্গে রাখা হয়েছে।

–

–

–

–

–


