কালীপুজোর রাতের কলকাতায় শব্দদানব থেকে দূষণের বিষ – রক্ষা করা গেল না আদালতের নির্দেশিকা। নিয়ম মেনে দীপাবলি পালন তো দূরের কথা, দীপাবলির (Diwali) রাত হয়ে দাঁড়ালো আরও একটি দূষণের (pollution) রাতে। কোথাও অসুস্থ হয়ে পড়লেন নাগরিকরা, আবার কোথাও পথকুকুরদের (street dog) মানুষের আনন্দের শাস্তি ভোগ করতে হল।

টালা থেকে টালিগঞ্জ, দীপাবলির রাতে শব্দদানবের (noise pollution) উপদ্রব ছিল প্রায় একই রকম। প্রতি বছর যেভাবে রাত বাড়লে শব্দবাজি ও বিভিন্ন বাজির দৌরাত্ম্য বাড়ে, সেভাবেই সোমবার দীপাবলীর রাতেও শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাত দুটো-আড়াইটা পর্যন্ত তীব্র বাজির (fire cracker) শব্দ শোনা যায়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বায়ু দূষণের (air pollution) মাত্রা ৪০০ অতিক্রম করতেও দেখা যায়। তবে এবারের দীপাবলিতে পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর ফানুসের প্রয়োগ অপেক্ষাকৃত কম দেখা যায়।

হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল – কালী পুজোর রাতে রাত ৮টা থেকে ২০টা পর্যন্তই গোটা রাজ্যে বাজি পড়ানো যাবে। সেই বাজে হতে হবে পরিবেশবান্ধব (eco friendly)। এই নিয়ম সম্পর্কে কিছুই যে জানেন না শহরের মানুষ, তারই প্রমাণ মিলল সোমবার রাতে। ১০টাতে বাজি ফাটানো বন্ধ হওয়া তো দূরের কথা, বরঞ্চ তার তীব্রতা আরও বাড়ে। স্পষ্ট হয়ে যায় নাগরিক উদাসীনতার ছবিটা। গোটা শহরের রাস্তাঘাট প্রায় পথকুকুর শূন্য হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: কালীপুজোতে কলকাতার রাস্তায় কড়া নিরাপত্তা! মোতায়েন ৫ হাজার পুলিশ

তবে উৎসবের রাতে উৎসবমুখর শহরকে নিরাপত্তা দিতে সজাগ অবস্থান বজায় রাখে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। একদিকে টহলদারি অন্যদিকে বিভিন্ন মাধ্যমে নজরদারিতে দীপাবলির রাতে শহরে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনার নিদর্শন মেলেনি। কালী পুজোর রাতে বিভিন্ন এলাকায় অশালীন আচরণ করার জন্য ২৯ জনকে গ্রেফতার (arrest) করা হয়েছে। অন্যদিকে অতিরিক্ত শব্দবাজি ব্যবহারের জন্য ১৬ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের দাবি নাগরিক সচেতনতা বাড়লে বাজির দূষণ দানবকে শহরে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

–

–

–

–

–