মহিলাদের প্রতি অসম্মান বা ধর্ষণের মতো ঘটনায় বাংলার পুলিশ প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করা থেকে নির্যাতিতাকে বিচার পাইয়ে দেওয়া পর্যন্ত সব পদক্ষেপ দ্রুততার সঙ্গে করার পথ নিয়েছে সব ক্ষেত্রেই। দুর্গাপুরের (Durgapur) চিকিৎসকের গণধর্ষণের (gang rape) অভিযোগের ঘটনার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। পাঁচ মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পরে নির্যাতিতার বয়ান সংগ্রহ থেকে সনাক্তকরণের (Test Identification Parade) প্রক্রিয়াও শুক্রবার সম্পন্ন হল।
শুক্রবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে নির্যাতিতা চিকিৎসককে (medical student) নিয়ে যাওয়া হয় টিআই প্যারাডের (TI Parade) জন্য। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা বিচারক রাজিব সরকার, মামলার তদন্তকারী আধিকারিক। সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রেফতার হওয়া পাঁচ মূল অভিযুক্তকে। কিন্তু নির্যাতিতার (rape victim) সহপাঠী যুবককে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
সকলের উপস্থিতিতে নির্যাতিতা পাঁচ অভিযুক্তকেই অনেক বেশি অভিযুক্তের মধ্যে থেকে চিহ্নিত করেন। কিন্তু যেহেতু নির্যাতিতার সহপাঠী তাঁর পূর্ব পরিচিত, তার জন্য তাঁর আলাদা সনাক্তকরণের (identification) প্রয়োজন ছিল না। পাঁচ অপরাধীর মধ্যে থেকে মূল অপরাধীকেও (prime accused) চিহ্নিত করেন নির্যাতিতা। সেই সঙ্গে বাকিদের ভূমিকাও বর্ণনা করেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুর কাণ্ডে নজরে ‘মাস্টারমাইন্ড;! আদালতে বিস্ফোরক নির্যাতিতার আইনজীবী
এর আগে দুর্গাপুরের ঘটনায় একাধিক বয়ান নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে তদন্তকারীদের। নির্যাতিতা ঘটনার রাতে ও পরদিন সকালে যে বয়ান (statement) দিয়েছিলেন, তাতে অমিল ছিল। সেই সঙ্গে তাঁর বাবার বয়ানেও ছিল অসঙ্গতি। ফলত, অপরাধী ও নির্যাতিতার সামনা সামনি আসা ছিল তদন্তের স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার সেই প্রক্রিয়াই বিচারকের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হল। ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে এই রিপোর্ট পেশ করা হবে।
–
–
–
–
–
