SIR ঘোষণার পরের দিনই মর্মান্তিক ঘটনা। NRC আতঙ্কে আত্মহত্যার অভিযোগ খড়দহে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান লেখেন, ওই ব্যক্তি একটি চিরকুট লিখেছেন, যাতে লেখা “আমার মৃত্যুর জন্য এনআরসি দায়ী।”। তীব্র আক্রমণ করে মমতা লেখেন, “বিজেপির (BJP) ভয় ও বিভাজনের রাজনীতির এর থেকে বড় অভিযোগ আর কী হতে পারে?”

নিজের এক্স হ্যান্ডেল মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,
“খড়দহ পানিহাটির ৪ মহাজ্যোতি নগরের বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সী প্রদীপ কর আত্মহত্যা করেছেন। একটি চিরকুট রেখে গিয়েছেন যেখানে লেখা, “আমার মৃত্যুর জন্য এনআরসি দায়ী।” বিজেপির ভয় ও বিভাজনের রাজনীতির এর চেয়ে বড় অভিযোগ আর কী হতে পারে?”

এর পরেই বিজেপিকে নিশানা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান লেখেন,
“ভাবতেই আমার মাথায় আসে, বছরের পর বছর ধরে বিজেপি কীভাবে এনআরসির হুমকি দিয়ে নিরীহ নাগরিকদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে, মিথ্যা ছড়িয়েছে, আতঙ্ক ছড়িয়েছে এবং ভোটের জন্য নিরাপত্তাহীনতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা সাংবিধানিক গণতন্ত্রকে ভয়ের এক রঙ্গমঞ্চে পরিণত করেছে, যেখানে মানুষকে তাদের অস্তিত্বের অধিকার নিয়ে সন্দেহ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এই মর্মান্তিক মৃত্যু বিজেপির বিষাক্ত প্রচারণার প্রত্যক্ষ পরিণতি। যাঁরা দিল্লিতে বসে জাতীয়তাবাদ প্রচার করেন তাঁরা সাধারণ ভারতীয়দের এমন হতাশার দিকে ঠেলে দিয়েছেন যে তাঁরা তাঁদের নিজের দেশেই মরে যাচ্ছেন এই ভয়ে যে, তাঁদের ‘বিদেশী’ ঘোষণা করা হবে।”

মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোর দেগে মমতার (Mamata Banerjee) দাবি, ”
আমি দাবি করছি কেন্দ্রীয় সরকার এই নির্মম খেলা চিরতরে বন্ধ করুক। বাংলা কখনই এনআরসিকে অনুমতি দেবে না, এবং কাউকে আমাদের জনগণের মর্যাদা বা স্বত্ব কেড়ে নিতে দেবে না। আমাদের ভিত্তি মা-মাটি-মানুষের উপর, যারা ঘৃণা ছড়ায় তাদের উপর নয়। দিল্লির জমিদারদের এই কথাটি স্পষ্টভাবে শুনিয়ে দিন: বাংলা প্রতিরোধ করবে, বাংলা রক্ষা করবে এবং বাংলা জয়ী হবে।”

–

–

–

–

–
–


