মঙ্গলবার ভোরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে মন-থা। তার জেরে ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) একাধিক জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় (severe cyclone) হিসাবে স্থলভাগে করবে মন-থা। তার জেরে সোমবার থেকেই তামিলনাড়ু অন্ধপ্রদেশ এবং ওড়িশায় প্রস্তুতি প্রশাসনের।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী অন্ধপ্রদেশের কাকিনাড়া (Kakinada) উপকূলের কাছে ল্যান্ডফল হবে মন-থার (Montha)। ল্যান্ডফলের (landfall) সময় সর্বোচ্চ গতি ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার থাকবে। এর জেরে ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের একাধিক ট্রেন বাতিলের (train cancellation) ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রাথমিকভাবে অন্ধপ্রদেশ থেকে চেন্নাইগামী চারটি উড়ান বাতিল (flight cancellation) করার ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। ইন্ডিগো মঙ্গলবার সকাল ৯:৪৫ থেকে দুপুর ১:৪৫ পর্যন্ত ৪টি উড়ান বাতিল করেছে।

ঘূর্ণিঝড়ে কিভাবে প্রভাবিত হবে রাজ্যের মানুষ, সেই আশঙ্কায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ। ইতিমধ্যেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। তা সত্ত্বেও ওড়িশার (Odisha) একাধিক জেলায় মঙ্গলবার স্কুল বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। অন্ধপ্রদেশের (Andhra Pradesh) কাকিনাড়া জেলায় ২৭ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ গোদাগরী, এলুরু, পূর্ব গোদাবরী, আন্নামায়া এবং কাপাড়া জেলায় ২৭ ও ২৮ তারিখে স্কুল ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) চেন্নাইতে সমস্ত স্কুল ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে মন-থার সতর্কতায়।

আরও পড়ুন: ভূখণ্ড থেকে ৫০০ কিমি দূরে: মঙ্গলবার রাতে ল্যান্ডফলের আগে কোন পথে মন-থা

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মন-থার জেরে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং বাংলায় বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনার রয়েছে। তবে অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া উপকূলের পাশাপাশি বিশাখাপত্তনম এবং ওড়িশার গোপালপুর উপকূল সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর থেকে শেষ ৬ ঘন্টায় ঘণ্টা প্রতি ১৫ কিলোমিটার গতি বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। বর্তমানে অন্ধপ্রদেশের নেলোর থেকে এই ঘূর্ণিঝড়ের দূরত্ব মাত্র ২৭০ কিলোমিটার।

–

–

–

–
–


