পূর্বাভাস মিলিয়ে দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ই স্থলভাগে প্রবেশ করল ঘূর্ণিঝড় মন্থা। অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ার কাছে মছলিপতনম ও কলিঙ্গপতনমের মাঝখানে আছড়ে পড়ে এই ঘূর্ণিঝড়। ঘণ্টায় প্রায় ১১০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বহু বাড়িঘর ভেঙে পড়ে, গাছ উপড়ে যায়, বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে রায়ালাসীমা, তেলেঙ্গানা ও দক্ষিণ ছত্তিশগড়েও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বিপর্যস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই এনডিআরএফ-এর বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণকাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।

অন্ধ্রপ্রদেশে সরাসরি আঘাত হানলেও মন্থার প্রভাব পড়েছে দক্ষিণবঙ্গেও। মঙ্গলবার রাত থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, ও পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির দাপটে ব্যাহত হয়েছে জনজীবন। ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকাতেও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ জেলায় বজ্রপাত ও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ার পর ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে মন্থা উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

আরও পড়ুন- সারান্ডার জঙ্গলে IED বিস্ফোরণে মৃত নাবালিকা

_

_

_

_

_

_
_
_


