২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবার নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা কারচুবির ছবি তুলে ধরেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছিলেন তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢোকানো কমিশনেরই (Election Commission) কারচুপি। তারপরেও ঘটা করে বিহারে এসআইআর (Bihar SIR) সফলভাবে সম্পূর্ণ, বলে প্রচার চালিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অথচ ভোটের মুখেই দেখা যাচ্ছে বিহারের বাসিন্দা প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) নাম বাংলা এবং বিহারের ভোটার তালিকাতে (voter list)। এই নিয়ে কমিশন পিকে-র দিকে আঙুল তুলতেই পাল্টা কমিশনকে তোপ দাগলেন ভোটকুশলি, জনসুরজ পার্টির (Jan Suraaj Party) নেতা। প্রশ্ন তুললেন, এভাবেই কি দুই তালিকায় নাম রেখে বিহারের এসআইআর শেষ করেছে কমিশন?

বাংলা-সহ দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর (SIR) ঘোষণা করার পর দিনই প্রাক্তন ভোটকুশলি ও বর্তমান বিহারের জনসুরজ পার্টির নেতা প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে নির্বাচন কমিশন। বিহার (Bihar) ও বাংলার ভবানীপুরে (Bhawanipur) দুটি ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে, দেখানো হয়। সেই সঙ্গে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কী কোনও একটি তালিকা থেকে নিজের নাম তুলে নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। তা নিয়ে জবাবদিহি চাওয়া হয় পিকের কাছে।

পাল্টা নির্বাচন কমিশনকেই প্রশ্ন করলেন ভোটকুশলি প্রশান্ত কিশোর। প্রশ্ন করলেন, কমিশন বিহারে এসআইআর চালিয়ে গোটা বিহারের বাসিন্দাদের ভয় দেখাতে ব্যর্থ। তাই প্রশান্ত কিশোরকে ভয় দেখাতে এসেছে। প্রশ্ন করছে আমার নাম কেন দুই তালিকায় রয়েছে। আমার প্রশ্ন, যদি বিহারে এসআইআর (Bihar SIR) হয়ে থাকে, তবে অন্য তালিকার (voter list) নাম থাকার পরেও আমার নাম কেন বিহার থেকে বাদ যায়নি?

প্রশান্ত কিশোর ব্যাখ্যা করেন, তিনি ২০১৯ সাল থেকে বিহারের নিজের গ্রাম কোনারের (Konar) বাসিন্দা। তাই তাঁর নাম সেখানে আছে। মাঝে দু’বছর তিনি কলকাতায় ছিলেন। সেই সূত্রে কলকাতায় ভোটার তালিকায় তাঁর নাম উঠেছিল। এরপরই প্রশান্ত কিশোর প্রশ্ন তোলেন, বিহারে ভোটার তালিকার (Bihar voter list) শুদ্ধিকরণ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাহলে কিভাবে একই ভোটারের নাম দুই ভোটার তালিকায় রয়ে গেল?

আরও পড়ুন: জ্ঞানেশের মেয়ে-জামাইয়ের পোস্টিং নিয়ে প্রশ্ন অভিষেকের

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোরে নির্বাচন কমিশনের মুখোশ খুলতে দলীয় কর্মী সভা থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঠিক একই কারচুপি (scam) ফাঁস করেছিলেন। কিভাবে অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের নাম বাংলার ভোটার তালিকায় কমিশনের কারচুপিতে ঢোকানো হয়েছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। বিহার ও বাংলা – দুই ভোটার তালিকায় প্রশান্ত কিশোরের নাম থাকা আরও একবার কমিশনের কারচুপিকেই প্রমাণ করল। সেই সঙ্গে আবারও বিরোধীরা কমিশনের এসআইআর (SIR) নিয়ে যে প্রশ্ন তুলছিলেন, সেই প্রশ্নই উঠল। এত কম সময়ের মধ্যে এভাবেই কী নির্ভুল এসআইআর করার দাবি জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন?

–

–

–
–


